ওশানটাইমস ডেস্ক : ১৭ নভেম্বর ২০২৩, শুক্রবার, ১৮:৩১:১০
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র কারণে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে থাকা পর্যটকদের মাইকিং করে নিরাপদে থাকার নির্দেশ দিচ্ছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। তবে সবকিছু উপেক্ষা করে ছুটির দিনে আগত পর্যটকরা মেতেছেন ঢেউয়ের তালে।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) মুষলধারে বৃষ্টিকে উপভোগ করতে পর্যটকরা হৈ-হুল্লোড় করছেন। সমুদ্র উত্তাল হলেও বৃষ্টিকে উপভোগ করতে অনেক পর্যটককে সৈকতে বিচরণ করতে দেখা গেছে।
গভীর নিম্নচাপটি এরইমধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’তে রূপ নিয়েছে। এ অবস্থায় মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে সাত নম্বর বিপৎসংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অফিস।
বরিশাল থেকে আসা পর্যটক মো. ফয়সাল বলেন, ‘অবরোধের কারণে আগে কুয়াকাটায় আসতে পারিনি। আজ শুক্রবার তাই এসেছি। কিন্তু বৃষ্টিতে আটকা পড়েছি। তারপরও বৃষ্টি ও সৈকতের উত্তাল ঢেউ উপভোগ করতে পেরে ভালো লাগছে।’
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ জাগো নিউজকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়ায় সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। এজন্য পর্যটকদের নিরাপদে থাকার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। যারা সাঁতার জানেন না তাদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হচ্ছে। আবহাওয়া যদি আরও বেশি খারাপ হয় তাহলে আমরা পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবো।
জেলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী জানান, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুর, ফেনী, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ১৭৫টি সাইক্লোন শেল্টার, ১৯টি মুজিব কেল্লা এবং পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছেন।
For add