কলের পানির সঙ্গে বেরুলো মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবা!!


পানির কল (Tap water) খুলে মুখ ধুচ্ছিলেন ফ্লোরিডার এক ব্যক্তি। এমন সময়ে তার নিজের অজান্তেই ঘটে গেল বিপদ। শরীরে ঢুকে গেল অ্যামিবা (Amoeba)! হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন। ছোটবেলায় স্কুলের বিজ্ঞান বইতে পড়া এককোষী প্রাণী (Single cell organism) অ্যামিবার কথাই বলা হচ্ছে। সেই অ্যামিবা মানুষের শরীরে ঢুকে সংক্রমণ বাঁধিয়েছে। জটিল রোগে আক্রান্ত ফ্লোরিডার (Florida)ওই ব্যক্তি। কিন্তু প্রাণীটি কীভাবে মানবশরীরে ঢুকল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। গবেষকদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ঘটনা।

গত বৃহস্পতিবার ফ্লোরিডার শার্লট কাউন্টি স্বাস্থ্য বিভাগে চিকিৎসা করাতে যান ওই ব্যক্তি। চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে জানান, মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবা যা Naegleria fowleri নামে পরিচিত, তা বাসা বেঁধেছে ব্যক্তির শরীরে।

তবে এই অ্যামিবা একমাত্র মানুষের নাকের (Nose) মধ্যে দিয়েই শরীরে ঢুকতে পারে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। সেক্ষেত্রে জলে ঝাঁপ দিলে কিংবা সাঁতারের সময় সংক্রমণের সম্ভাবনা। কিন্তু কলের জলে যদি অ্যামিবার অস্তিত্ব থাকে, তাহলেই তা সংক্রমণ ঘটাল কীভাবে? সেই প্রশ্ন উঠেছে।

মার্কিন স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১২ থেকে ২০২১ পর্যন্ত ৩১ টি এই জাতীয় সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিকভাবে আক্রান্ত মানুষের মধ্যে হালকা জ্বর, বমিভাব, মাথাযন্ত্রণা, ভারসাম্যহীনতার মতো সমস্যা দেখা যায়।

কখনও কখনও হ্যালুসিয়েশনও হয়। জানা গিয়েছে, অ্যামিবাটি নাকের মধ্যে দিয়ে ঢুকে সোজা মস্তিষ্কের কোষে (Brain cell) আঘাত করে। তারপরই তা মানুষকে অসুস্থ করে ফেলে। সেই সময় সে কুরে কুরে খেতে থাকে মস্তিষ্কের কোষ। ৯৭ শতাংশ কেসই মৃত্যুর দিকে ঠেলে নিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।

তবে বিভিন্ন রকমের প্রয়োজনীয় ওষুধের একটা মিশ্রণ (Combination of medicines) তৈরি করে চিকিৎসা হলে অনেক ক্ষেত্রে অ্যামিবাকে কাবু করা সম্ভব।

আপাতত ফ্লোরিডার ব্যক্তির আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা গবেষণায় অন্য মাত্রা যোগ করছে। কলের জল থেকে কিংবা মুখ ধুলেও কি অ্যামিবা শরীরে প্রবেশ করছে? সেটাই ভাবাচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন পানীয় জল নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে।

সর্বশেষ খবর ওশানটাইমস.কম গুগল নিউজ চ্যানেলে।

Tags: , , ,

oceantimesbd.com