সমুদ্রে পাওয়া সি-উইড আসলে কী?

বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের একান্ত সমুদ্র এলাকায় বিভিন্ন প্রজাতির বেশ কিছু মূল্যবান উদ্ভিদজাত এবং প্রাণীজ সম্পদের সন্ধান পাওয়া যায়। প্রায় দু বছর ধরে গবেষণা চালিয়ে ২২০ প্রজাতির সি-উইড চিহ্নিত করা হয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত জানুয়ারি মাসে জানিয়েছে। কর্মকর্তারা বলেছেন, যথাযথভাবে ব্যবহার করতে পারলে সি-উইড বাংলাদেশের জন্য ব্যাপক বাণিজ্যিক সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে।

সি-উইড আসলে কী?

সি-উইড – যার আক্ষরিক অর্থ ‘সামুদ্রিক আগাছা’ – এক ধরণের শৈবাল। এর কোন শেকড়, ডালপালা ও পাতা থাকে না। এটি সাধারণত উপকূলীয় সামুদ্রিক এলাকার পাথর, বালি, কাদা, খোলস বা অন্যান্য শক্ত অবকাঠামোর সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। মূলত তিন ধরনের সামুদ্রিক শৈবাল দেখা যায়—লাল, বাদামি এবং সবুজ।

সি-উইড বিশ্বব্যাপী একটি গুরুত্বপূর্ণ জলজ সম্পদ। পুষ্টিগুণের বিচারে বিভিন্ন দেশে খাদ্য ও শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে এটি। খাবার হিসেবে ছাড়াও ডেইরি, ওষুধ, টেক্সটাইল, কাগজ শিল্প এবং জেল জাতীয় খাবারে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয় সি-উইড।

তবে খাবার হিসেবে জাপান, চীন এবং কোরিয়ায় খাবারে সি-উইড ব্যবহারের বহুল প্রচলন রয়েছে। বাংলাদেশে এটির খাবার হিসেবে তেমন চাহিদা নেই, কিন্তু সৌখিন শহুরে খাবারে একটু একটু করে এর ব্যবহার হতে দেখা যাচ্ছে।

সামুদ্রিক শৈবাল মানবদেহের প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করে। তাছাড়া জমিতে সার, প্রাণী খাদ্য ও লবণ উৎপাদনেও সি-উইড ব্যবহার করা যায়। তিন ধরণের সি-উইডের মধ্যে সবুজটি সাধারণত খাবার হিসেবে খাওয়া হয়। আর লালটি হাইড্রোকলয়েড উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়। আর বাদামি সি-উইড খাবার ও হাইড্রোকলয়েড উৎপাদন দুই কাজেই ব্যবহার হয়।

হাইড্রোকলয়েড উৎপাদন সাধারণত শিল্প উৎপাদনে জলীয় কাঁচামাল হিসেবে কাজে লাগে।

সর্বশেষ খবর ওশানটাইমস.কম গুগল নিউজ চ্যানেলে।

Tags: , , , , ,

সব সংবাদ

For add

oceantimesbd.com