বিখ্যাত নদীটি বয়ে চলেছে শত সহস্র বছর ধরে। কিন্তু আগে কখনও এ নদীতে এই প্রাণির দেখা মেলেনি। এ নদীতে এমন প্রাণি এই প্রথম দেখা গেল।

৯২৯ কিলোমিটার লম্বা নদী। এ নদীর ধার ধরে অনেক শহর গ্রাম বেঁচে রয়েছে। ভারতের অন্যতম প্রধান নদীগুলির তালিকায় রয়েছে এই নদীর নাম। নদীর ইতিহাস বলছে আগে এই নদীতে কখনও এ প্রাণির দেখা মেলেনি। এই প্রথম এই নদীর পানিতে এমন এক প্রাণিকে ভেসে বেড়াতে দেখা গেল।

লখনউ সীতাপুর সীমান্তের কাছে ওয়াইল্ড লাইফ ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিরা একটি পর্যবেক্ষণের কাজ চালাচ্ছিলেন। যা প্রধানত ছিল গোমতী নদীর পানিকে দূষণ মুক্ত করা নিয়ে। সেই সময় পানি তাঁদের প্রথম নজরে পড়ে প্রাণিটি। যা দেখে কার্যত নিজেদের চোখকে বিশ্বাস করতে পারেননি তাঁরা।

উত্তর প্রদেশের পিলিভিট ব্যাঘ্র অভয়ারণ্য, দুধওয়া ব্যাঘ্র অভয়ারণ্য, কাতারনিয়াঘাট, হায়দরপুর এবং হস্তিনাপুর অভয়ারণ্য, এই ৫ জায়গায় এই প্রাণিটির দেখা মেলে। এছাড়া আর কোথাও তাদের কখনও দেখা যায়নি। গোমতী নদীতে তো নয়ই।

যে প্রাণিটির দেখা মিলেছে তাকে বলা হয় অটার। বাংলায় যাকে বলা হয় জলনকুল বা ভোঁদড়। চকচকে গায়ের এই জলনকুলরা দিব্যি জলে সাঁতার কাটতে পারে।

বিশেষজ্ঞেরা জানান, গোমতীর জলে এই জলনকুল দেখতে পাওয়া যেমন এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল তেমনই এটাও প্রমাণ হল যে গোমতী নদীর সব অংশটাই দূষণে ভরে যায়নি। না হলে এই জলনকুল গোমতীর পানি আসত না।

প্রসঙ্গত গোমতী নদীর পানি ১৫০টি গ্রামের ৬৮টি ড্রেন থেকে পাম্প করে নর্দমার পানি ফেলা হয়। ফেলা হয় ৩০টি কারখানার বর্জ্যও। যা গোমতীর জলের চূড়ান্ত দূষণের কারণ হচ্ছে।

সূত্র: সংবাদ সংস্থা