ঘূর্ণিঝড় মিধিলি

সেন্টমার্টিনে আটকা পড়েছে ৪ শতাধিক পর্যটক

জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় সেন্টমার্টিনে চার শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছে। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক জরুরি সভায় এ তথ্য জানান জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান।

তিনি জানান, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাগর উত্তাল রয়েছে। কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

ডিসি জানান, উপকূলের সব সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে মাইকিং করা হচ্ছে উপকূলে। সাগরে মাছ ধরার ট্রলারসমুহকে উপকূলের কাছাকাছি নিরাপদ স্থানে চলে যেতে বলা হয়েছে।

জাহাজ মালিকদের সংগঠন স্কোয়াব’র সাধারণ সম্পাদক হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর জানান, বুধবার তিনটি জাহাজে করে ৫১৯ জন পর্যটক সেন্টমার্টিন ভ্রমণে যান। তারমধ্যে দুই শতাধিক পর্যটক সেন্টমার্টিনে অবস্থান করেন। আগের দিন আরও ১৫০-২০০ জন পর্যটক দ্বীপে অবস্থান করছিলেন। আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে জাহাজ চলাচল শুরু হবে তখন সেন্টমার্টিনে থাকা পর্যটককে ফিরিয়ে আনা হবে।

জেলা বোট মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ জানান, সতর্ক সংকেত জারির পর সাগরে অবস্থান করা সিংহভাগ ফিশিং ট্রলার তীরে ফিরে এসেছে। বাকিগুলোও আসার পথে রয়েছে।

সর্বশেষ খবর ওশানটাইমস.কম গুগল নিউজ চ্যানেলে।

oceantimesbd.com