সত্তরের প্রলংকারী ঘূর্ণিঝড়ে যখন লন্ডভন্ড হয়ে যায় দ্বীপ জেলা ভোলা, সে সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভোলায় এসে বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখে ভোলাকে রক্ষার জন্য উপকূলে বনায়ন তৈরির সিদ্ধান্ত নেন। এই বনায়নই পরবর্তীতে সিডর, আইলার, নার্গিস, মহাসিনসহ বিভিন্ন ঘূর্ণিঝড়ের কবল থেকে ভোলাকে রক্ষা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বন অধিদফতরের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম।

বিশ্ব বন দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সকালে ভোলা উপকূলীয় বন বিভাগের আয়োজনে চরফ্যাশন উপজেলার বন বিভাগের বাশিরদোন বিট কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। এবার সুস্থ শরীর সুস্থ মন, যদি থাকে সমৃদ্ধ বন’ এই প্রতিপাদ্যে পালিত হচ্ছে দিবসটি।

এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, মার্চ মাস স্বাধীনতার মাস। এমনকি আমাদের অনেক কিছু অর্জনের মাস। তাই স্বাধীনতার এ মাসে দেশের বন ও বনভূমি রক্ষায় আমাদের সকলকে দৃঢ়ভাবে কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশের বন অধিদপ্তর অনেক নতুন বন সৃজন করেছেন। এ কাজে সরকারের পাশাপাশি খালি ও পতিত জায়গায় জনগণকেও গাছ লাগাতে হবে। কেননা এই গাছই দেশ এবং দেশের জনগণকে রক্ষা করবে। দেখা গেছে, সত্তরের প্রলংকারী ঘূর্ণিঝড়ে যখন লন্ডভন্ড হয়ে যায় দ্বীপ জেলা ভোলা। সে সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভোলাতে এসে বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখে ভোলাকে রক্ষার জন্য উপকূলে বনায়ন তৈরির সিদ্ধান্ত নেন। পরবর্তীতে বন বিভাগের মাধ্যমে ভোলার উপকূলীয় এলাকার লক্ষাধিক একর জমিতে ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের মাধ্যমে গড়ে তোলেন উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী। এই বনায়নই পরবর্তীতে সিডর, আইলার, নার্গিস, মহাসিনসহ বিভিন্ন ঘূর্ণিঝড়ের কবল থেকে ভোলাকে রক্ষা করেছে। এমতাবস্থায় তিনি সবাইকে বাড়ির আশপাশে কিংবা পতিত খালি জমিতে বৃক্ষরোপনের পরামর্শ দেন।

জাহানপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আলী আকবরের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রসুলপুর ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক মো. আজিম উদ্দিন পাটোয়ারী, সাবেক ইউপি সদস্য মো. আজাদ হাওলাদার, সাবেক ইউপি সদস্য মো. সালাম, হাজারীগঞ্জ ইউপি সদস্য মোহাম্মদ ইউসুফ সিকদার, জাহানপুর ইউনিয়নের শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হেলাল চৌধুরী, জাহানপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. ইমতিয়াজ আহমেদ, জানপুর ইউনিয়নের প্রশিকার কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, চরফ্যাশন রেঞ্জের কর্মকর্তা মো. রকিবুল ইসলাম ও চরমানিকা ইউনিয়নের বিট কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেন প্রমুখ।