সেন্টমার্টিন দ্বীপে সরকারের সংরক্ষণ কার্যক্রমের মধ্যেই গড়ে উঠেছে দুই শতাধিক হোটেল-রিসোর্ট। এর মাধ্যমে পরিবেশগত বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে দ্বীপটি। ইসিএ আইন অনুযায়ী সেখানে কোনো প্রদিষ্ঠানই গড়ে ওঠার কথা নয় তবু থামানোর যেন কেউই নেই। সেন্টমার্টিন প্রসঙ্গে প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা দেখা যায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি প্রতিষ্ঠান পরিবেশ অধিদফতরকে।

দ্বীপটিতে গড়ে ওঠা হোটেল-রিসোর্টগুলো নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার দুর্বল ও হাস্যকর নির্দেশনা দিলো পরিবেশ বন ও জলবায়ুপরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কৃত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) কমিটির ৩১তম বৈঠকে সেন্টমার্টিনে নিয়ম বহির্ভূতভাবে গড়ে উঠা বিভিন্ন প্রকার হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট ইত্যাদি পরিবেশ দূষণকারী প্রতিষ্ঠানকে সতর্কতা অবলম্বনের জন্য নোটিশ প্রদানের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা দেয়া হয়।

এ সময় কক্সবাজারে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করা, বিশেষ করে সংরক্ষিত বনাঞ্চল রক্ষায় বালু উত্তোলন বন্ধে আরও কঠোর হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সহায়তা কামনা করে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় কমিটির সদস্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, উপ-মন্ত্রী হাবিবুন নাহার, তানভীর শাকিল জয়, জাফর আলম এবং খোদেজা নাসরিন আক্তার বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকে বন্যপ্রাণী পাচার, কক্সবাজারে অবৈধ বালু উত্তোলন, সেন্টমার্টিনে অবৈধভাবে গড়ে উঠা বিভিন্ন প্রকার হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট এবং আসন্ন কপ সম্মেলনের প্রস্তুতি, সাইড ইভেন্ট এবং অংশগ্রহণে ইচ্ছুক সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সমূহের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে বন্যপ্রাণী পাচার রোধে বিদ্যমান আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা এবং পাচার রোধে ট্রানজিট ব্যবস্থার অবসান ঘটাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য মন্ত্রণালয়কে কমিটির পক্ষ থেকে প্রচলিত আইনের আওতায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা জোরদার করার প্রতি অধিক সতর্ক থাকার সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে আসন্ন কপ-২৭ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট ঝুঁকি এবং এর ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বাস্তবায়িত কার্যক্রমসমূহ উক্ত প্যাভিলিয়নে প্রদর্শন ও প্রচারের বিষয়ে বিভিন্ন সাইড ইভেন্ট আয়োজনের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়।

বৈঠকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থা প্রধানগণসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।