ওশানটাইমস ডেস্ক : ২৯ ডিসেম্বর ২০২২, বৃহস্পতিবার, ৮:৪২:৩৯
বাংলাদেশের সমুদ্র তলের মাটি, উপরিভাগের পানি ও সমুদ্রের মাছে মিলেছে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি। বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট (বিওআরআই) এর এক গবেষণায় এই চিত্র উঠে এসেছে।
বৃহস্পতিকার (২৯ ডিসেম্বর) সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে এই প্রতিবেদন তুলে ধরে সরকারি গবেষণা সংস্থাটি।
বিওআরআই জানায়, গবেষণাটির জন্য কক্সবাজার উপকূলের ১২টি স্থান থেকে সমুদ্রপৃষ্ঠের পানি, মাছের ও সমুদ্র তলদেশের (পলি) মাটির নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সংগৃহিত পলি, পানি ও মাছের গ্যাস্ট্রোইন্টটেস্টাইনাল ট্র্যাক্ট এবং ফুলকার নমুনা বিশ্লেষণে ২৯৩টি মাইক্রোপ্লাস্টিকের কণা পাওয়া যায়।
এর মধ্যে সমুদ্র তলদেশের প্রতি কেজি পলিতে ১ থেকে ১২টি পর্যন্ত মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া যায়। প্রতি ঘনমিটার পানিতে ০ থেকে ১টি মাইক্রোপ্লাস্টিক কনা পাওয়া যায়। তবে সবচেয়ে কম প্লাস্টিক পাওয়া যায় সামুদ্রিক মাছের শরীরে। ১০টি প্রজাতির ৬২টি মাছের নমুনা বিশ্লেষণ করে ১১টি মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা পাওয়া যায়।
গবেষণাটি নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সুলতান আল নাহিয়ান। তিনি বলেন, আমরা ১২টি স্পট থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ৩০% হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড দিয়ে ডাইজেশন করি। এরপরই আর্গানিক ম্যাটারিয়ালসগুলো থেকে মাইক্রোপ্লাস্টিকগুলো আলাদা করি।
তিনি আরও বলেন, তুলনামূলক বিবেচনা করলে কক্সবাজার উপকূলে যে পরিমান মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া যাচ্ছে এটাকে কমই বলা যায়। তবে আশঙ্কার বিষয় হলো এই প্লাস্টিক মাটি, পানি ও মাছে ঢুকে যাচ্ছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের পানি, পলি ও মাছের নমুনায় মাইক্রোপ্লাস্টিকের এই উপস্থিতিও স্থানীয় সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রকে গুরুতর হুমকির মুখে ফেলে দিবে।
সর্বশেষ খবর ওশানটাইমস.কম গুগল নিউজ চ্যানেলে।
Tags: কক্সবাজার, কক্সবাজার সৈকত, মাইক্রো প্লাস্টিক
For add