খরস্রোতা যমুনা এখন প্রাণহীন

গল্প-কাব্য-গানে খরস্রোতা যমুনার মায়াবী চিত্র ফুটে উঠলেও নদীটি এখন প্রাণহীন এক শুষ্ক মরুভূমি। নাব্য হারিয়ে যমুনার প্রশস্ততা এখন প্রায় ১৫ কিলোমিটার।

একসময় যমুনার বুকে সারা বছর নৌকা চলাচল করলেও এখন চলে ঘোড়ার গাড়ি, সাইকেল। অনেক সময় হেঁটেও পারাপার হওয়া যায়।

বগুড়ার সোনাতলা, সারিয়াকান্দি, ধুনট উপজেলার ৩৪ থেকে ৩৮ কিলোমিটার অংশজুড়ে যমুনা নদীর অবস্থান ছিল। শীত মৌসুমে মরুকরণ এবং বর্ষায় নদীভাঙনের ভয়াল থাবা।

এককালের সুজলা-সুফলা উত্তরের জনপদে জীবনের গল্প বদলে দিয়েছে যমুনার নদী। নদীর নাব্য কমে যাওয়ায় পানি ধারণক্ষমতা কমেছে। প্রভাব পড়েছে কৃষি, মৎস্য শিকার ও যাতায়াতে। ফলে কৃষক-জেলেরা পেশা বদল করে শহরমুখী হচ্ছেন, বেছে নিচ্ছেন রিকশা চালনা ও মুটেমজুরের কাজ।

নদীর চরাঞ্চলের মানুষের লড়াকু জীবনও এখন, দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। হাতের নাগালে নেই চিকিৎসার সুব্যবস্থা। শিক্ষার জন্য হেঁটে পাড়ি দিতে হয় পাঁচ-ছয় কিলোমিটার পথ।

কখনও রোদে পোড়া ফসল, কখনও বাঁধভাঙার কান্না। চর ভাঙে, ঘর ভাঙে, বদলায় ঠিকানা। এভাবে যমুনা নদী বদলে দিয়েছে হাজারো মানুষের জীবনের গল্প।

সর্বশেষ খবর ওশানটাইমস.কম গুগল নিউজ চ্যানেলে।

Tags: ,

oceantimesbd.com