বিখ্যাত কফির নাম নিয়ে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’!

প্রতীকী ছবিবঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে যাচ্ছে একটি লঘুচাপ। যা আগামী ১৪ মে নাগাদ ভারত, বাংলাদেশ বা মিয়ানমার উপকূলের যে কোনো স্থানে আঘাত হানতে পারে বলে ধারণা করছেন আবহাওয়াব বিশেষজ্ঞরা। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার তৈরি করা ঘূর্ণিঝড়ের নামের তালিকা অনুযায়ী লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে তার নাম Mocha (‘মোচা’ বা ‘মোকা’) হওয়ার কথা রয়েছে।

কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের নাম কেন Mocha হলো এ নিয়ে যথেষ্ট কৌতুহল তৈরি হয়েছে জনমনে। মোকা বা মোচা বলতে কি বুঝানো হয়েছে সেটি নিয়েও রয়েছে যথেষ্ঠ কৌতুহল।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) ছয়টি বিশেষ আঞ্চলিক আবহাওয়া সংস্থার (আরএসএমসি) সঙ্গে সমন্বয় করে ২০০৪ সাল থেকে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ শুরু করেছে। আরএসএমসি তার সদস্য দেশগুলোর কাছ থেকে নামের তালিকা চেয়ে থাকে। তালিকা পেলে দীর্ঘ সময় যাচাই-বাছাই করে সংক্ষিপ্ত তালিকা করে ডব্লিউএমওর কাছে পাঠায়।

২০০৪ সালে প্রথমবার নামকরণ শুরুর সময় ৬৩টি ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়। সেগুলো শেষ হলে ২০২০ সালের এপ্রিলে সম্ভাব্য ১৬৯টি ঘূর্ণিঝড়ের নামের তালিকার অনুমোদন দেয় বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও)। এই তালিকার নামগুলো প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশসহ ১৩টি দেশ। বাকি ১২টি দেশ হলো ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, আরব আমিরাত ও ইয়েমেন। সেই তালিকায় ইয়েমেনের দেওয়া নাম অনুযায়ী এবারের ঘূর্ণিঝড়ের নাম হতে যাচ্ছে Mocha (‘মোচা’ বা ‘মোকা’)।

অভিধান ঘেটে Mocha শব্দটির কোনো অর্থ পাওয়া যায়নি। শব্দটির বাংলা উচ্চারণ নিয়েও আছে বিতর্ক। কেউ বলছে ‘মোকা’, কেউ আবার বলছে ‘মোচা’। Mocha বা মোকা একটি বিশ্ব বিখ্যাত কফির নাম। কফি কোম্পানিটির বিজ্ঞাপন অনুযায়ী এর উচ্চারণ মোকা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

জানা যায়, ১৯ শতক পর্যন্ত মোখা (উচ্চারণ মোকা) ছিল ইয়েমেনের রাজধানী সানার প্রধান বন্দর। এই শহরেই চাষ হয় বিখ্যাত কফি ‘মোকা’। বহু বছর ধরে মোখা বন্দর দিয়েই দেশ বিদেশে ‘মোকা’ কফি রফতানি করা হয়। কফির নামকরণও হয়েছে শহরের নামেই। তাই ধরেই নেওয়া যায়, ইয়েমেনের বন্দর শহর ‘মোখা’র নামে এই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর ওশানটাইমস.কম গুগল নিউজ চ্যানেলে।

Tags: , , ,

oceantimesbd.com