উপকূলীয় সোনাগাজীতে ৫৭০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ

উপকূলীয় সোনাগাজীতে চতুর্থ বারের মত চাষ হচ্ছে তরমুজের, এখানকার তরমুজ বেশ সুস্বাদু হওয়ায় এবং গত তিন বছর বাম্পার ফলন হওয়ায় চাষাবাদে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের মাঝে ও বাজারে তৈরি হয়েছে ব্যাপক চাহিদা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যমতে, এবছর সোনাগাজীর উপকূলীয় ৫টি ইউনিয়ন চর ছান্দিয়া, চর দরবেশ, নবাবপুর, আমিরাবাদ ও সোনাগাজীতে ব্লাকবেরি, গ্লোরি, বাংলালিংক, ওশান সুপার ও ভিক্টর সুপার জাতের তরমুজ আবাদ হয়েছে তরমুজের। লক্ষামাত্রা ৩৪৫ হেক্টর জমি ধরা হলেও আবাদ হয়েছে ৫৭৫ হেক্টর জমিতে।

কৃষকরা জানান, হেক্টর প্রতি আনুমানিক খরচ হয়েছে ৩ লক্ষ টাকা পরিবেশ পরিস্থিতি ঠিক থাকলে হেক্টর প্রতি তরমুজ বিক্রি হবে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার।সব মিলেয়ে প্রায় ৫৭ কোটি টাকার তরমুজ বিক্রি হতে পারে।

বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে এখন তরমুজের সবুজ মাঠ। তরমুজ চাষের ভালো ফলনে চাষিরাও খুশি। চলতি মাস থেকে তরমুজ বিক্রি শুরু হব বলে জানান তারা ।

কৃষি উদ্যোক্তা তরুণ চাষি আনোয়ার, ইফতেখার ও ফরহাদ জানান, ১৫ জনের একটি দল গত বছর তরমুজের আবাদ করে প্রায় কোটি টাকা লাভবান হয়েছেন, এ বছর তারা পূনরায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে প্রায় ২১৬ একর জমিতে ১.৫ কোটি টাকা খরছ করে তরমুজের আবাদ করছেন, ফলনও ভাল আসছে সব কিছু ঠিক থাকলে ব্যাপক লাভবান হবেন বলে আশা করছেন।

ধন মিয়া নামের এক কৃষক জানান গত বছর তার পাশের জমি গুলোতে তরমুজের ভাল ফলন দেখে এ বছর তিনিও ২ একর আবাদ করেছেন প্রায় ২ লক্ষ টাকা ব্যায়ে, ফলন দেখে তিনি খুশি, আশা করছেন পরিবেশ পরিস্থিতি ঠিক থাকলে প্রায় ৭/৮ লক্ষ টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারবেন।
সোনাগাজী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন মজুমদার জানান, কৃষকদের তরমুজ চাষে উদ্বুদ্ধ করতে এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে কৃষি অফিস কাজ করছেন, এখানকার জমি গুলো তরমুজ উৎপাদনের জন্য বেশ উপযোগী হওয়ায় তরমুজের সাইজ ও স্বাদ অতুলনীয়, বাজারেও আছে ব্যাপক চাহিদা, আশাকরি এ বছর কৃষকরা বেশ লাভবান হবে।

সর্বশেষ খবর ওশানটাইমস.কম গুগল নিউজ চ্যানেলে।

Tags: ,

oceantimesbd.com