জন্মস্থান ভাঙন রোধে সেচ্ছাশ্রমে কাজ করছেন স্থানীয়রা

নোয়াখালীর মুলভ‚খন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাতিয়া উপজেলা। মেঘনার বুকে থাকা দ্বীপটির বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে ৭লাখ। মেঘনার ভাঙা গড়া নিয়ে তাদের জীবন। স্বাধীনতার পর থেকে মেঘনা নদীর অব্যাহত ভাঙনে বিলিন হয়েছে উপজেলার হাজার হাজার বাড়ী ঘর, শত শত বাজার, বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, মসজিদ সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। নদী ভাঙন এই দ্বীপের সবচেয় বড় সমস্যা। তাই নদী ভাঙন রোধ নিজেদের জন্মস্থান রক্ষায় নিজেরাই নেমে পড়েছেন, নিজেদের উদ্দ্যেগে জিও ব্যাগ ফেলে রোধ করার চেষ্টা করা করছেন নদী ভাঙন।

সাবেক সাংসদ, রাজনীতিবিদ, ইউনিয়ন পরিষদ, ব্যবসায়ী, গাড়ি চালক সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে গত ফেব্রুয়ারি প্রথম সপ্তাহে গাজীপুর থেকে জিও ব্যাগ আনা হয়। জিও বাগে বালু ভর্তি করে নদী ভাঙন রোধে কাজ শুরু করা হয়। গত বর্ষা মৌসুমে এবং সব শেষ ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং ব্যপক নদী ভাঙন হয়। গত বছরের ক্ষতিগ্রস্ত ৮শত মিটার মেরামত ও নতুন করে নলচিরা ঘাটের পূর্ব-পশ্চিম এবং চরঈশ্বর ইউনিয়নের একটি অংশে আরও ৬শত মিটার নদী ভাঙনে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। এতে ব্যায় ধরা হয়েছে আড়াই কোটি টাকা। আগামী মে মাস পর্যন্ত চলবে এ কাজ।

নিজেদের উদ্দেগ্যে যতটুকু পারছেন ভাঙন রোধে কাজ করে যাচ্ছেন স্থানীয় লোকজন। তবে তাদের দাবী হাতিয়বাসীকে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে সরকারি ভাবে স্থায়ীভাবে বøক নির্মাণের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী সহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে তাই বøক নির্মাণের দাবি করেছেন দ্বীপের লাখো মানুষ।

গত বছরের জিও ব্যাগে ভাঙন রোধ হওয়া তাদের আশা জাগিয়েছে। মেঘনার অব্যহত ভাঙনে যুগযুগ ধরে নিজেদের অনেক সম্পদ হারিয়েছে দ্বীপবাসী। তাই সেচ্ছসেবী সংগঠন ‘হাতিয়া নদী শাসন ও তীর সংরক্ষণ’ ভাঙন রোধে উদ্দ্যোগ নিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় চলতি বছরও জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙন রোধে কাজ করছে।

সারা বছর মেঘনার ভাঙনে বিলিন হচ্ছে হাতিয়ার হাজার হাজার মানুষের বস-বিটি ও ফসলি জমি। ব্যয়বহুল হওয়ায় জিও ব্যাগ দিয়ে পুরো হাতিয়ার এ ভাঙন রোধ করা স্থানীয়দের পক্ষে সম্ভব হবে না। সরকারি সহযোগিতায় ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধান পাবে এমন আশা এ দ্বীপবাসির।

সর্বশেষ খবর ওশানটাইমস.কম গুগল নিউজ চ্যানেলে।

Tags: ,

oceantimesbd.com