মুরাদ হোসেন, সন্দ্বীপ প্রতিনিধি : ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, মঙ্গলবার, ৫:১৫:৩২
চট্টগ্রামের কুমিরা ঘাট থেকে সন্দ্বীপ এবং সন্দ্বীপ থেকে কুমিরা ঘাট- এই নৌরুটে অবৈধভাবে চলছে ঝুঁকিপূর্ণ লালবোট। শুধু তাই নয়, যাত্রী পারাপারের জন্য যে নির্ধারিত সময় বেধে দেয়া আছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে, সেই নির্ধারিত সময়ের বাইরেও ঝুঁকি নিয়ে এই রুটে চলাচল করছে স্পিডবোট, লালবোটসহ নানা ধরনের নৌযান।
চট্টগ্রাম কুমিরা থেকে সন্দ্বীপ ঘাট একটি গুরুত্বপূর্ণ নৌ-পথ। প্রতিদিন এই পথে হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। কুমিরা ঘাটে প্রতিদিন বিকাল ৫টা পর্যন্ত নৌ-পথে যাতায়াতকারী স্পিড বোটের টিকিট দেওয়া হয়। গত বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪টায় আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে নৌ-কতৃপক্ষ টিকিট বিক্রি বন্ধ করে দেন এবং জানিয়ে দেওয়া হয়, আজ ঘাট বন্ধ থাকবে। অথচ তখনো সন্দ্বীপ ঘাট থেকে স্পিড বোটে মানুষ ঠিকই যাতায়াত করছিলো।
শুধু স্পিডবোটেই নয়, কুমিরা থেকে সন্দ্বীপ এবং সন্দ্বীপ থেকে কুমিরা- অবৈধভাবে ঝুঁকিপূর্ণ ‘লালবোটে’ করেও যাত্রী আনা-নেওয়ার কাজ চলছে। লালবোট একটি বিশেষ নৌযান। সন্দ্বীপ এবং চট্টগ্রামের তৎসংলগ্ন স্থানীয় ভাষায়, জাহাজে যাত্রী ওঠানোর জন্য ব্যবহার করা বোটকেই লালবোট বলা হয়।
এর ঠিক ২ ঘণ্টা পর সন্ধ্যা ৬টা ৬মিনিটে ৩ জন নারী ও ২১ জন পুরুষ থেকে জনপ্রতি ৩০০ করে ৭,২০০ টাকা নিয়ে লালবোট কুমিরা থেকে সন্দ্বীপের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়, যা যাতায়াতের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং অবৈধ।
সাগর পাড় থেকে একটু গভীরে আসতেই শুরু হয় ধমকা হাওয়া, সে সঙ্গে সাগরের বড় বড় ঢেউয়ে লালবোটটি উল্টে যাওয়ার মতো অবস্থা তৈরি হয়। কয়েকবার ডুবে যাওয়ার উপক্রমও হয়েছিল। ঢেউয়ে মানুষের পোশাক, ব্যাগ এবং সঙ্গে থাকা নানা জিনিসপত্র লবণাক্ত পানিতে ভিজে একাকার।
লালবোটের যাত্রী সুমন বলেন, ‘সাধারণত বিকাল ৪টার দিকে কুমিরা ঘাট থেকে স্পিড বোট ছাড়া হয়। ঠিক একই সময়ে সন্দ্বীপ ঘাট হতেও স্পিড বোট ছাড়ে। নির্দিষ্ট সময়ের মদ্যে বোট ছাড়লে মানুষ খুব সুন্দরভাবে যাতায়াত করতে পারে। অথচ, নিয়ম না মেনে নির্ধারিত সময়ের পরও ঝুঁকিপূর্ণ লালবোট পরিচালনা করা হচ্ছে। যাতে মানুষকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেয়া হয়। এমনকি জীবনহানিরও শঙ্কা দেখা দেয়। কঠিন পদক্ষেপ নিয়ে এসব লালবোট বন্ধ করা হোক। কখন কোন দুর্ঘটনা ঘটে তা কেউ বলতে পারে না। যদি লালবোট ডুবে যায়, তাহলে তা হবে গুপ্তছড়া-কুমিরা ঘাটের জন্য সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লালবোটের এক মালিক বলেন, ‘আমি যাত্রীদের বলেছি সাগরে ঢেউ আপনারা ভিজে যাবেন। তবুও তারা সন্দ্বীপে যাওয়ার জন্য নাছোড়বান্দা। এ কারণে ঝুঁকি নিয়ে হলেও লালবোট ছাড়া হয়।’
For add