ওশানটাইমস ডেস্ক : ২১ মার্চ ২০২৩, মঙ্গলবার, ১৬:৪১:০৫
বিশ্বের সবচেয়ে বড় বদ্বীপ গাঙ্গেয় বদ্বীপ। ব্রহ্মপুত্র ও গঙ্গার দুই শাখা নদী মিলে তৈরি করেছে এই ২৫০ কিমি চওরা বদ্বীপ। তাই ভারতের কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গও একই বিপদের মুখে।
বিশ্ব উষ্ণায়নের সাথে সাথে পানির সমতল বেড়ে চলেছে। আর এরই সাথে নতুন আশঙ্কার কথা শোনালেন বিজ্ঞানীরা। শুধুই পানির সমতল বেড়ে চলেছে তা নয়, বসে যাচ্ছে মাটিও। আর এমনটা চলতে থাকলে বিশ্বের বদ্বীপগুলো যেকোনো দিন ভয়ানক বিপদের সম্মুখীন হবে।
সম্প্রতি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে।
এভাবে মাটি বসে যাওয়ার কারণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবী জুড়ে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এমন কাজকর্মের প্রবণতা বেড়ে গেছে। আর সে জন্যই বসে যাচ্ছে মাটি। বিশেষ করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা শহরের একই পরিণতি হচ্ছে যাচ্ছে বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা। তাই তারা এখনি পদক্ষেণ নিয়ে বলেছে সরকারকে।
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা বলেন, অতি মাত্রায় ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন, বিভিন্ন হাইড্রোকার্বন যৌগ উত্তোলনের কারণে মাটির জৈব প্রকৃতি নষ্ট হচ্ছে। মাটির জীববৈচিত্র্য নষ্ট হচ্ছে বলে মাটিও দুর্বল হয়ে পড়ছে। এর ফলেই দিন দিন বসে যাচ্ছে মাটি। অন্যদিকে তুলনায় সমুদ্রের পানি একটু একটু করে বাড়তে থাকায় বিপদ আরো ঘনিয়ে আসছে।
বিজ্ঞানীদের মতে, ঘন বনাঞ্চল বা গাছ মাটির এই ক্ষয় আটকাতে পারে। কিন্তু পরিস্থিতি বদলে গেছে অনেকটাই। পর্যটন শিল্পের কারণে মাটি খোঁড়াখুঁড়ি, নতুন নতুন ইমারত নির্মাণ এই সমস্যাকে আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে। তাছাড়া দীর্ঘ এলাকা জুড়ে চাষের ক্ষেত থাকায় সমস্যা বাড়ছে বৈ কমছে না। মাটি যত বসে যাবে, ততই আপেক্ষিকভাবে উঁচু হতে থাকবে সমুদ্রের পানির সমতল। এখনই পরিস্থিতি সামাল না দিলে এই শতাব্দীর শেষে অনেক বদ্বীপই পানির নিচে ডুবে যাবে।
বিজ্ঞানী রাফায়েল স্মিথ বলেন, মানুষের কিছু বিবেচনাহীন কাজের জন্য এমন বিপদের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে পৃথিবী। সমুদ্রের মাঝে বদ্বীপের সংখ্যা কম হলেও নদীর মাঝে বদ্বীপগুলো বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের জিডিপির ৪ শতাংশ এই বদ্বীপগুলো থেকে আসে। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
For add