সমুদ্রের তলদেশে সবচেয়ে প্রাচীন প্রাণী

সামুদ্রিক জেলিফিশ নিডারিয়া প্রজাতির প্রাণীদের মধ্যে অন্যতম। এরা সমুদ্রের তলদেশের সৌন্দর্য বর্ধনের কাজে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা রাখে। এদের সম্পূর্ন শরীর দেখতে অনেকটা ক্রিস্টাল প্রকৃতির। ক্রিস্টাল বা স্বচ্ছ হওয়ায় এদের সম্পূর্ন শরীরের এক পাশ হতে অন্য পাশ অনায়সেই দেখা যায়। সমুদ্রের তলদেশে বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীদের বৈশিষ্ট্য এবং কার্যকলাপের উপর নির্ভর করে এদের বিভিন্ন শ্রেনীতে ভাগ করা যায়। জেলিফিশ এর কিছু এমন বৈশিষ্ট্য রয়েছে যে সেগুলো শুনতে খুবই সাধারন মনে হয়। কিন্তু তার মধ্যে কিছু নতুনত্ব রয়েছে। সামুদ্রিক জেলিফিশের সম্পর্কে কিছু অস্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য নিচে তুলে ধরা হল।

সবচেয়ে প্রাচীন প্রাণী:

বিজ্ঞনীদের মতে জেলিফিশ পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর প্রাণীদের মধ্যে একটি। গবেষনায় দেখা গেছে এরা আবির্ভাব প্রায় ৫০০ মিলিয়ন বছর পূর্বে হয়েছিল। ডাইনোসরের আগমন এর পরে হয়েছিল। এজন্য অনেকের মনে প্রশ্ন থাকতেই পারে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন প্রানী হিসাবে জেলিফিশ এর কথা বলতে পারি। ডাইনোসরের আগমন পরে হয়েও এর বিলুপ্তি অনেক আগেই ঘটেছে। কিন্তু জেলিফিশ বর্তমানে খুব সুন্দরভাবে সার্ভাইভ করছে।

সামুদ্রিক জেলিফিশঃ

প্রাণীদের সব কিছু নিয়ন্ত্রনের জন্য স্নায়ুতন্ত্র থাকে। স্নায়ুতন্ত্রের সাথে মস্তিষ্কের সম্পর্ক সরাসরি। কিন্তু জেলিফিশ প্রাণী হওয়ার পরও এদের মস্তিষ্ক নেই। এদের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ন অঙ্গ-প্রত্যাঙ্গ নেই।যেমনঃ হৃদপিন্ড, ফুসফুস, ইত্যাদি। কিন্তু এদের শরীরের চামড়া অনেক পাতলা হওয়ায় এরা এদের চামড়ার মাধ্যমে অতি সহজেই অক্সিজেন শোষন করতে পারে। এতে এদের কোন রকম অসুবিধা হয় না।

ফটোকপি করতে পারেঃ

আমরা নিজেদের দরকারে কাগজ পত্র হুবাহু নকল বা ফটোকপি করে থাকি। জেলিফিশ এর প্রজনন ক্ষমতাটিও অনেকটা একই রকম। কোন ভাবে যদি এদের যে কোনভাবে কাটা হয় তবে এরা সম্পূর্ন নতুন জেলিফিশে পরিনত হয়। হুবাহু একই বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন একাধিক জেলিফিশে পরিনত হয় বলে এদেরকে ফটোকপি করার সাথে তুলনা করা হয়েছে। এদের ইংরেজিতে “ক্লোন” বলা হয়। জেলিফিশের আকার আকৃতি কিছুটা ঢাকনার মত। যেন ঢাকনার নিচে কিছু ভাসমান চুল আটকে রয়েছে। এমন আকৃতিকে মেডুসা বলা হয়।যদিও এ সম্পর্কে গ্রীক সভ্যতার কোন একটি ঐতিহাসিক কোন ঘটনা জড়িত রয়েছে।

মাছের দাঁতঃ

অন্যান্য প্রজাতির মাছের দাঁত রয়েছে। কিন্তু জেলিফিশের সাধারন গুরুত্বপূর্ন অঙ্গ-প্রত্যাঙ্গ না থাকলেও এদের দাঁত রয়েছে। বের‍য়েড কোম্ব প্রজাতির জেলিফিশের এক পাটিতে ১০০টির মত দাঁত রয়েছে । সহজ কথায় এদের বৈশিষ্ট্য অন্যান্য প্রজাতির মাছের চেয়ে সামান্য আলাদা প্রকৃতির। মানুষ মহাকাশে যেতে পারে। কিন্তু জেলীফিশ এমন প্রজাতির প্রানী যে এদেরকে মহাকাশে রেখে আসলেও এরা ক্লোন করে নিজেদের বংশ বৃদ্ধি করবে। এমন বৈশিষ্ট্য এবং আলাদা প্রাজাতির অস্তিত্ব রয়েছে।

গ্রুপিংঃ

সামুদ্রিক প্রাণীদের মধ্যে জেলিফিশেরই একমাত্র কাঁটা যুক্ত রশ্মি অনেক লম্বা হয়। এদের অনেকটা ২৭ মিটার পর্যন্ত লম্বাও হতে পারে। এই সাইজ অনেকটা তিমি মাছের চেয়ে সামান্য কম প্রকৃতির। জেলিফিশ কখনই একা চলাফেরা করতে পারে না। বরং এরা নিজেরা একত্রিত হয়ে গ্রুপ অনুযায়ী চলাচল করে।

এসব গ্রুপে একই বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন জেলিফিশ থাকে। এদের নামকরন অনেক সুন্দর হয়। সমুদ্রের অজানা প্রানী সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন

জেলিফিশ সম্পর্কে অনেক মজার তথ্য জানা গেল। এসব তথ্য ছাড়াও যদি অন্যান্য আরও তথ্য আপনাদের জানা থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে আমাদের সাথে শেয়ার করুন এবং পশুপাখি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।

সর্বশেষ খবর ওশানটাইমস.কম গুগল নিউজ চ্যানেলে।

Tags: , ,

oceantimesbd.com