সামুদ্রিক পাখিরা যেভাবে খাবার সংগ্রহ করে

বিভিন্ন ক্যাটাগরির পাখির অস্তিত্ব আমাদের এই পৃথিবীতে আছে। পাখির ছবি দেখলেই বুঝা যায় এদের মধ্যে বৈচিত্র্য ভরপুর এবং তা সুন্দর অসুন্দর সহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির মধ্যে পড়ে।

তবে পরিযায়ী পাখিরা কোথাও এক জায়গায় টিকে থাকে না। এদের নির্দিষ্ট কোন গন্তব্য থাকে না। সামুদ্রিক পাখি সারা বছর উড়ে বেড়ায়। এ কারনে সমুদ্রের উপর এরা দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে থাকে। এই দীর্ঘ পথ সব ধরনের পাখি উড়তে পারে না।

পরিযায়ী পাখি গুলোকে আমরা অতিথি পাখি ধরা হয়। আমাদের দেশে শীতকালে অতিথি পাখি এর আগমন ঘটে। অতিথি পাখি দেখতে হলে আপনাকে গ্রামের দিকে যেতে হবে।

তবে প্রতিবছর নিয়মিতভাবে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি পাখির দেখা মিলে। অতিথি পাখি শীতের শুরুর দিকে এসে সম্পূর্ন শীতকাল আমাদের দেশেই থাকে। এ কারনে বলা হয় অতিথি পাখি শীতের আগমনি বার্তা দেয়।

আমাদের বাড়ির চারপাশে কিংবা গ্রামে গেলে যেসব পাখির দেখা মিলে সেগুলো উড়ার ক্ষমতা সামুদ্রিক পাখির তুলনায় খুবই কম। স্থানভেদে অনেক ধরনের পাখিদের দেখা মিলবে।

পাখির এত ধরন তৈরি হয়েছে স্থান এবং আবহওয়া জলবায়ুর কারনে। সমুদ্রের চারদিকে তাকালে শুধুমাত্র অথৈ জলরাশি চোখে পড়ে। কিন্তু মাইলের পর মাইল পথ পাড়ি দেওয়ার পরও ক্লান্ত হয় না এবং খাবারই বা কোথা থেকে পেয়ে থাকে। এই প্রশ্ন অনেকের মনেই উকি দিতে পারে। আশেপাশের পাখির চেয়ে সামুদ্রিক পাখির ছবি গুলো সাদা রঙের হয় বেশিভাগ।

একটি কথা খেয়াল করলে দেখা যাবে যে সমুদ্রের বিশাল জলরাশিতে বিপুল সংখ্যক জীবের সমাহার । সমুদ্রের উপর দিয়ে উড়ন্ত পাখিগুলো পানির ভিতর দিয়ে বিভিন্ন ধরনের মাছ চলাচল করে। এক প্রজাতির মাছ দেখতে পাওয়া যায় যেগুলো পানি থেকে লাফ দিয়ে দীর্ঘ দূরত্ব অতিক্রম করে থাকে। এদের ফ্লাইং ফিস ( Flying Fish ) বলে। এমন অনেক ধরনের মাছ পাখিদের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আজকে আমরা সমুদ্রের বুকে উড়ন্ত পাখিদের সম্পর্কে জানব।

ফ্রিগেট পাখিঃ

এদের সমুদ্রের পাইরেট বার্ড বা সহজ কথায় জলদস্যু পাখি বলে। এদের ডানা ৭-৮ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। এই পাখির ওজন ১-১.৫ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। কিছু কিছু ফ্রিগেট পাখি ১.৫ কেজির থেকেও বেশিও হয়ে থাকে। এরা যখন ডানা মেলে উড়ে বেড়ায় তখন এদের লেজ দেখে অনেক চিকন মনে হয়। এরা কালো রঙের হওয়ার কারনে এদের দেখতে কাকের মত মনে হলেও কাক থেকে দেখতে এরা সুন্দর প্রকৃতির। এদের পায়ের নখগুলো একে অপরের সাথে যুক্ত অবস্থায় থাকে। বিমান যেমন আকাশে উচু দিয়ে উড়ে বেড়ায় এরাও তেমনি উচু দিয়ে উড়ে বেড়ায়। মাছ শিকার করতে হলে এরা অনেক উঁচু থেকে ডাইভ দিয়ে পানির মধ্য থেকে মাছ ধরে পুনারায় উপরে উঠে যায়।

ফুলমার পাখিঃ

এরা দেখতে যেমন সুন্দর পাখি তেমনি উড়ার সময় এরা নিজেদের অনেক গুটিয়ে নিয়ে থাকে। আকারে ছোট হওয়ায় এরা দ্রুতগতিতে উড়ে বেড়ায়। এদের লেজ সরু প্রকৃতির এবং এদের পাখির পালকের রং ধূসর রঙের। এদের পাখি ৩ ফুট লম্বা এবং ওজনে এরাও ১.৫ কেজি পজন্ত হয়ে থাকে। এরা ঠোঁট হাঁসের ঠোঁটের মত কিন্তু আকারে ছোট এবং চ্যাপ্টা প্রকৃতির। এরা সমুদ্রের বুকে উড়ে বেড়ানো মিডিয়াম সাইজের পাখি।

পেট্রেল পাখিঃ
এরা আকারে অত্যান্ত ছোট হওয়ার পরও ওজন অন্যান্য পাখিদের চেয়ে বেশি। এদের ওজন ২.৫ থেকে ৪ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। এদের ডানা ৫-৭ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। এই পাখিকে আপনি সাদা-কালো পাখি বলতে পারেন। কেননা এদের সম্পূর্ন শরীরের কোথাও কোথাও কালোর এবং ধূসর এসব কিছুর সংমিশ্রিত হয়ে ছোপ ছোপ দাগ দেখা যায়।

সর্বশেষ খবর ওশানটাইমস.কম গুগল নিউজ চ্যানেলে।

Tags: , ,

oceantimesbd.com