বিশাল পৃথিবীর ফুসফুস “সমুদ্র”

বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় অঙ্গ হচ্ছে ফুসফুস। ঠিক তেমনি আমাদের জানামতে পৃথিবীর ফুসফুস হচ্ছে আমাজনের গহীন অরণ্য ‘আমাজন রেইন ফরেস্ট’। কারণ এত বিশাল অরণ্য পৃথিবীকে তার ২০ শতাংশ অক্সিজেন দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছে। এ তথ্য সঠিক।
আমাজনের ব্যাপক পরিমাণ গাছ থেকে পৃথিবী তার প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পেলেও প্রায় সমপরিমাণ কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও ছাড়ে বাতাসে। তাই কোথাও না কোথাও অক্সিজেন এবং কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ মিলে যাচ্ছে। কিন্তু তারপরও পৃথিবীতে অক্সিজেনের পরিমাণ বেশি। তাই কোনভাবেই পৃথিবীর ফুসফুস আমাজনকে বলা যায় না।

এখন কথা হচ্ছে কোথা থেকে আসে এত অক্সিজেন ! পৃথিবীতে মোট উৎপাদিত অক্সিজেনের ৭০%ই আসে সমুদ্রের নিচের উদ্ভিদগুলো থেকে। এত বড় বিশ্বে পাঁচটি মহাসাগর ছাড়াও রয়েছে অনেক সাগর। ওয়ার্ল্ড রেজিস্টার অব মেরিন স্পিশিস কে জানা যায়, বর্তমানে সারা বিশ্বের সমুদ্রে ২লাখ ৩৬হাজার ৮৭৮ ধরনের এই প্রাণী রয়েছে।

স্থলভাগে যেমন রয়েছে অনেক গাছপালা তেমনি সমুদ্রের নিচেও রয়েছে অনেক নাম না জানা উদ্ভিদ। সূর্য থেকে আসা অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করে নেয় সমুদ্র।

তাছাড়াও পৃথিবীর এত কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও হজম করে নেয় সমুদ্র। কিন্তু কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ দিন দিন বাড়তে থাকায় সমুদ্রের পানি আরও অম্লীয় হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে বাস্তুসংস্থানে কেন্দ্র বিন্দুতেও রয়েছে সমুদ্র। এক কথায় সমুদ্রের উপকারী দিকের অভাব নেই।

মূলত সমুদ্র গভীরে থাকা উদ্ভিদ, ছোট ছোট ফাইটোপ্লাণ্টনের কারণে পৃথিবীতে অক্সিজেনের কোন ঘাটতি হচ্ছে না। আর সমুদ্র থেকে প্রাপ্ত অক্সিজেনই বিশ্বকে অক্সিজেনের যোগান দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছে। তাই বলা যায়, পৃথিবীর ফুসফুস আমাজন নয়,পৃথিবীর ফুসফুস হলো সমুদ্র।

সর্বশেষ খবর ওশানটাইমস.কম গুগল নিউজ চ্যানেলে।

Tags: , ,

oceantimesbd.com