ওশানটাইমস ডেস্ক : ১২ এপ্রিল ২০২৩, বুধবার, ১১:৩৮:৩৫
পুকুর, নদী, টিউবওয়েলের পানি খাওয়া যায়। কিন্তু সমুদ্রের পানি কি খাওয়া যায়? ভীষণ লবণাক্ত এ পানি খাবে কী করে! আচ্ছা সমুদ্রের পানি লবণ স্বাদের হয় কেন জানো?
সমুদ্রের পানিতে লবণ আসে ভূপষ্ঠের শিলা থেকে।
বাতাসে মিশে থাকা কার্বন ডাইঅক্সাইড বৃষ্টির পানিতেও থাকে। ফলে কার্বন ডাইঅক্সাইড ও পানির সংমিশ্রণে তৈরি হয় কার্বনিক এসিড। এই কার্বনিক এসিডের কারণে বৃষ্টির পানি সামান্য এসিডিক হয়।
এই বৃষ্টি যখন ভূ-শিলার ওপর পড়ে তখন শিলা ক্ষয় হয়। তেমনি বৃষ্টির পানি শিলা ভেঙেও ফেলে। এ প্রক্রিয়ায় সৃষ্টি হয় আয়ন। শিলার আয়ন বৃষ্টির পানি ও নদীর স্রোতে ধুয়ে সমুদ্রে গিয়ে পড়ে। দ্রবীভূত আয়নের একটা বড় অংশ আবার অর্গানিজম দ্বারা ব্যবহৃত ও অপসারিত হয়। আর বাকি আয়ন দীর্ঘদিন ধরে জমা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর ঘনত্ব বাড়ে।
সমুদ্রের পানিতে সবচেয়ে বেশি থাকে ক্লোরাইড আর সোডিয়াম। এ দুটো আবার একসঙ্গে ৯০ শতাংশের বেশি আয়ন তৈরি করে। বলাই বাহুল্য, সোডিয়াম ও ক্লোরাইড স্বাদে লবণাক্ত। হিসেব করে দেখা যায়, এক ঘন মাইল সমুদ্রজলে লবণের (সোডিয়াম ক্লোরাইড) মাত্রা থাকে একশো ২০ মিলিয়ন টন।
ধারণা পেতে বলা যায়, পৃথিবীর সমুদ্র থেকে সব লবণ যদি তুলে জমা করা যেতো, তবে সে লবণ স্তুপের উচ্চতা হতো পাঁচশো ফুট! যা ৪০ তলা একটি অফিস বিল্ডিংয়ের সমান।
সর্বশেষ খবর ওশানটাইমস.কম গুগল নিউজ চ্যানেলে।
Tags: কার্বন ডাইঅক্সাইড, কার্বনিক এসিড, ভূ-শিলা
For add