সাগর তীরে ফুলের রাজ্য

সমুদ্র নগরী চট্টগ্রামে একমাসে আগেও যে স্থানটি ছিলো অবৈধ দখলে, গড়ে ওঠে ছিলো মাদকের আখড়া, সেখানে এখন দৃষ্টিননন্দন ফ্লাওয়ার পার্ক গড়েছে জেলা প্রশাসন।

ফুলের সুবাসে এই সড়কের চারপাশ চিত্রই যেন পাল্টে গেছে। সড়কে এখন হরেকরকমের ফুলের সুবাস। গেল ১০ ফেব্রুয়ারী (শুক্রবার) থেকে শুরু হওয়া এই ফুল উৎসব চলবে ১৮ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত।

বিস্তীর্ণ জলরাশি আর তার পাড় ঘেঁষেই ফুলের সাম্রাজ্য। শীতপ্রধান দেশের রানি টিউলিপ ফুল থেকে শুরু করে দেশীয় গাঁদা, লাল, নীল, হলুদ বর্ণের ডালিয়া ছাড়াও আছে নানা বর্ণের মেরিগোল্ড, চন্দ্রমল্লিকার মতো রঙ-বেরঙের প্রায় ১২২ প্রজাতির পাঁচ হাজারেরও বেশি ফুল পার্কে শোভা পেয়েছে। এইসব ফুল নজর কাটছে যে কারো। পতেঙ্গা থেকে সাগর পাড় ধরে যাওয়ার পথে সীতাকুণ্ডের প্রবেশপথে মেরিন ড্রাইভ সড়কের পাশেই এ পার্কের অবস্থান।

পার্কটিতে ঘুরতে আসা ব্যাংকার আবদুল কাইয়ূম জনান, চট্টগ্রামের মধ্যে একসাথে এতগুলো ফুলের দেখা কখনো পাইনি। চারপাশে হাজারো ফুলের সৌরভ। নান্দনিক এমন উৎসবের জন্য জেলা প্রসাশনকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুমানা হক চৌধুরী বলেন, পার্কটিতে আসলে যে কেউ মুগ্ধ হবে। এখানে অনেক প্রজাতির ফুল আছে যেগুলো আমরা কখনো দেখিও নাই। একদিকে সমুদ্র অন্যদিকে হাজার হাজার ফুল বিষয়টি খুবই চমৎকার।

৩য় শ্রেণী পড়ুয়া নগরীর হালি শহর এলাকা থেকে পার্কে আসা রুফাইদা বিন মোশারফ বলেন, এই জায়গায় এসে আজকে আমার খুবই ভালো লাগছে। আমি এত সুন্দর ফুল কখনো সরাসরি দেখিনি।

চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো এমন আয়োজন তাই প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলো বাড়তি উচ্ছ্বাস। এসময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন,সমুদ্র সৈকতের সামনে বিশাল একটা জায়গা জুড়ে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। দর্শনার্থীরা এখানে এসে সুন্দর একটি সময় কাটাতে পারবে।

তথ্য মন্ত্রী হাসান মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রামের পর্যটকদের জন্য এটি একটি বাড়তি পাওনা হয়েছে। আশা করবো এই ফুল উৎসব প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হবে।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মো. ফখরুজ্জামান বলেন, অস্ট্রেলিয়া,ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ড এসব দেশ গুলোতে ফুল উৎসব হয়ে থাকে। সেই ভাবনা থেকেই আমরা এই আয়োজন করেছি। আমরা পুরো এলাকা ফুল ও জলাশয়ের সমন্বয়ে একটি দৃষ্টিনন্দন পার্ক হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এ পর্যন্ত প্রায় ১২২ প্রজাতির ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে এবং আরও লাগানো হবে। এই উৎসব উপভোগ করতে আমরা দর্শনার্থীদের থেকে কোন ফি নিচ্ছি না। সকলের জন্য উন্মুক্ত।

 

সর্বশেষ খবর ওশানটাইমস.কম গুগল নিউজ চ্যানেলে।

Tags: , ,

oceantimesbd.com