হাতিয়ায় শত্রুতার জেরে মাছ ধরার ট্রলারে আগুন

নোয়াখালী হাতিয়ায় পূর্ব শত্রুতার জেরে এফ,বি ভাই ভাই নামে একটি মাছ ধরার বড় ট্রলারে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় ১৭ লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে ভোক্তভোগী ট্রলার মালিক। রোববার সকালে ছয় জনকে আসামী করে থানায় মামলা করা হয়। ৎ

এর আগে শনিবার গভীর রাতে বুডিরচর ইউনিয়নের রহমতবাজার ঘাট সংলগ্ন বাগানের পূর্ব পাশে খালের পাড়ে অগ্নি সংযোগের ঘটনাটি ঘটে।
এফ,বি ভাই ভাই ১০৫ ফিসিং ট্রলারের মালিক মো: খবির উদ্দিন বুড়িরচর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড বড়দেইল গ্রামের মৃত আহম্মদ করিমের ছেলে।

খবির উদ্দিন বলেন, ইলিশ মাছের মৌসুম শেষ হয়েছে প্রায় ৪ মাস আগে। পরবর্তী মৌসুম শুরু হলে আবার সাগরে যাব এই আশায় তৈল, মবিল লাগিয়ে আমার ট্রলারটি উপরে তুলে রেখেছি।

টুকটাক কিছু কাজ ছিলো তাও শেষ করেছি। আমার ছেলে প্রতিদিন পাহারা দেয়, কিন্তু শনিবার রাত আনুমানিক ১০টার দিকে আমার ছেলে ভাত খেতে আসে, খাওয়া শেষ করে ট্রলারের দিকে যেতে থাকলে দেখে কিছু লোক দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছে, পরে সে ট্রলারে কাছে গিয়ে দেখে ভিতর থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে।

তখন সে চিৎকার শুরু করলে আমি সহ আশপাশের লোকজন এসে একঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে। আগুনে ট্রলারের কেবিনের ভিতরে ও ইঞ্জিন রুমের বেশির ভাগ অংশ পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়। কিছু দূস্কৃতিকারী পারিবারিক পূর্ব শত্রুতার জেরে আমাকে নিস্ব করার জন্য আমার ট্রলারে এ অগ্নিসংযোগ করে।

মামলায় বুড়িরচর ইউনিয়নের একই গ্রামের রেজাউল হকের ছেলে মো: সোহাগ (২৭), ছারোয়ার হোসেন (২৫), মৃত বলির ছেলে মো: আশ্রাফ (৩৫) বাবুল (৩০), মৃত দুধা মিয়ার ছেলে রেজাউল হক (৬০), রেজাউল হকের ছেলে আব্দুছ ছাত্তার (৩০) সহ ১০/১২ জনকে অজ্ঞাত নামা আসামী করা হয়।

এবিষয়ে হাতিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন বলেন, ট্রলারের মালিক খবির উদ্দিন লিখিত অভিযোগ দিয়েছে, আমি একজন পুলিশ অফিসারকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে পরর্বর্তী ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ খবর ওশানটাইমস.কম গুগল নিউজ চ্যানেলে।

oceantimesbd.com