ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়ায় অবাধে রেণু পোনা শিকার

সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে অবৈধভাবে মাছের রেণু পোনা শিকার চলছে।

মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে প্রতিদিন ভাটা শুরু হলে এলাকার জেলে ও শিশু কিশোররা দল বেঁধে নেমে পড়ে রেণু পোনা শিকারের কাজে। মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর বিভিন্ন স্থানে, প্রায় বিশ কিলোমিটার তীর জুড়ে খন্ডখন্ড স্থান জুড়ে রেণু সংগ্রহ করার দৃশ্য দেখা যায়।

উপজেলার বেতুয়া নতুন সুলিজ, সামরাজ নতুন ঘাট, সামরাজ পুরান বাজার, পাঁচ কপাট, আট কপাট, নদীর তীর জুড়ে স্রোতের বিপরীতে ছোট ছোট এলাকা নিয়ে খুঁটি পুঁতে রাখা হয়েছে। জোয়ারের সময় উজানে বাগদা চিংড়ির পোনা ও রেণু উঠে আসে।

উপজেলার মাদ্রাজ ইউনিয়নের হামিদপুর গ্রামের মেঘনা নদীর তীরে রেণু পোনা ধারার কাজে ব্যস্ত জেলে জামাল হোসেন, তিনি রেণু সংগ্রহ করে দিলে খুব সুক্ষভাবে গলদা ও বাগদা চিংড়ি রেণু সংগ্রহ করেন তার স্ত্রী।

তিনি বলেন, সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সারাদিনে ১৫শ থেকে ২ হাজার রেণু সংগ্রহ করে দৈনিক ৭শ থেকে ১হাজার টাকার রেণু বিক্রি করে তার ছেলে-মেয়ে ও স্ত্রীসহ পাঁচজনের সংসার চালান।

এছাড়াও রেণু ধরার সময় কয়েকজন বলেন, মশারির কাপড় দিয়ে তৈরী খুচি জালে রেণু সংগ্রহ করা হয়। রেণু সংগ্রহকালে বিভিন্ন প্রজাতির শত শত পোনা জালে ওঠে এর মধ্য থেকে খুব সুক্ষভাবে গলদা ও বাগদা চিংড়ি রেণু সংগ্রহ করা হয়।

চিংড়ি রেণু সংগ্রহকালে অন্যান্য প্রজাতির শত শত রেণু পোনা নষ্ট হয় বলেও তারা স্বীকার করেন। নদী তীরের অধিবাসীরা জানান, খুঁটি গেড়ে ছোট ছোট নৌকার সাথে অবৈধ নেট জাল পেতে গলদা, হরিনা, পারশে, ভেটকি, চিতরিসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের রেণু পোনা শিকার করে, সংগ্রহকৃত রেণু পোনা বিক্রি করে থাকে। এসব রেণু পোনা ক্রয় করেন এখানকার কিছু মৎস্য ব্যবসায়ীরা।

চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল নোমান (রাহুল) বলেন, বিভিন্ন মাছের পোনা সংরক্ষণে অবৈধ নেট জাল ব্যবহার করা দণ্ডনীয় অপরাধ। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতি দ্রুত মেঘনা নদীর এসব এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হবে এবং যারা মাছের রেণু পোনা আহরণ করছে তাদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর ওশানটাইমস.কম গুগল নিউজ চ্যানেলে।

Tags: ,

oceantimesbd.com