মেঘনায় মিলছে না মাছ, সংকটে জেলেরা

মেঘনা নদীতে মিলছে না কাঙ্ক্ষিত মাছ। অধিকাংশ ট্রলার খালি ফিরছে। কোনো কোনো ট্রলারে অল্প কিছু মাছ। সব মিলিয়ে নোয়াখালীর উপকূলের জেলেদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে।

নোয়াখালীর হাতিয়া, সুবর্ণচর ও কোম্পানীগঞ্জ‌র জেলেরা যেমন বসে আছে ঠিক তেমনি বসে আছে আড়তদাররাও। ঘাটে নেই হাঁকডাক। অধিকাংশ ট্রলার খালি ফিরছে। কোনো কোনো ট্রলারে অল্প কিছু মাছ। যা দিয়ে উঠে না তেলের খরচও।

কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, নদীতে মাছ নেই তাই জেলেরা হতাশ। সরকার যেসব সহযোগিতা করছে তা যথেষ্ট নয়। আমাদের অনেক জেলে আছেন যারা নদীতে মাছ শিকার করেই জীবিকা নির্বাহ করেন। নিষেধাজ্ঞা থাকাকালীন সময়ে তারা বেকার হয়ে পড়েন। আমরা জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ করি। তবে জেলে অনুযায়ী এখানে বরাদ্দ খুব কম। বরাদ্দ বাড়ানো গেলে জেলেদের উপকার হতো।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, আমাদের লক্ষ্যই হলো নানান প্রতিকূলতার মাঝেও যেন জেলেরা স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখে। কেননা জেলেরা দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রান্তিক জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান হিসেবে উপহারস্বরূপ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ২০ জেলের মাঝে গরুর বকনা বাছুর বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া চাল বিতরণ করা হচ্ছে। বরাদ্দ বাড়ানোর বিষয়ে আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলব।

হাতিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, আমরা জেনেছি মেঘনা নদীতে তেমন মাছ নেই। সব থেকে বেশি জেলে এই হাতিয়া উপজেলায়। বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তবে কিছু জেলে নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার করে। বিশেষ করে বেহুন্দি জাল ব্যবহার করা হচ্ছে। যার কারণে নদীর মাছ, পোনা ও অন্যান্য জীব নষ্ট হয়ে যায়। ফলে মাছের পরিমাণও কমে যাচ্ছে। যদি এসব জাল ব্যবহার বন্ধ হয় তাহলে নদীতে আবার মাছের দেখা পাওয়া যাবে।

সর্বশেষ খবর ওশানটাইমস.কম গুগল নিউজ চ্যানেলে।

Tags: ,

oceantimesbd.com