সন্দ্বীপের ফেরী সার্ভিস নিয়ে ষড়যন্ত্রের আভাস

বি আই ডাব্লিউ টি সি এর সিদ্বান্ত ছিল গাছুয়া ও বাঁক খালি দিয়ে ফেরি চলাচল করবে ! কিন্তু একটি মহলের ইন্দনে গত ২ মাস ধরে গুপ্তছড়ায় বি আই ডাব্লিউ টি এ “আপাতত ” নাম দিয়ে ফেরি চালু করার জন্য ড্রেজিং করছে।

এই সব সিদ্বান্ত যেন ছেলে খেলা ! গুপ্তছড়ায় ড্রেজিং করতে অনুমানের চেয়ে অনেক বেশি সময় লাগছে – অর্থাৎ কর্মচারীদের টি এ , ডি এ ও জ্বালানি খরচ এর একটি বিশাল অংক উঠানো হবে সরকারি খাতায়। দৈনিক কত ঘন্টা ড্রেজার চলছে তা দেখার কোন কমিটি নেই। কাদা যুক্ত চরের দুই পাশে কাদা আটকানোর জন্য কোনো কাঠামোই ডিজাইন করা হয় নি। এর পর শুরু হবে কুমিরা ঘাটে খাল ড্রেজিং করা! যেহেতু কুমিরা ঘাটের পুরানো জেটি পাইলিং করা হয়নি – সেই হেতু ড্রেজিং এর শুরুতেই জেটি ভেঙে পরবে বা পরার সম্ববনার কথা বলে কাজ বন্ধ করে দেয়ার সম্ববনা খুব বেশি।

ইতি মধ্যে বিকল্প চিন্তা করার সময় এ গুপ্তছড়ায় ড্রেজিং করা চ্যানেল ভরে যাবে। তার পর এই ঘাটে ড্রেজিং টিকবে না বলে গাছুয়া-বাঁকখালী ঘাটের প্রকল্প পরিত্যক্ত ঘোষণা করার সম্ববনা বেশি। এতো তড়িঘিরি এই বিকল্প স্থান নিয়ে কাজ শুরু করার মূল লক্ষ্য হচ্ছে কুমিরার বিকল্প অবকাঠামো যাতে গাছুয়ায় নির্মিত না হতে পারে-সেই ক্ষেত্রে ফেরী যদি কোন কারণে বাঁধা গ্রস্ত হয় তাতেও যেন কুমিরার বিকল্প ঘাট রেডি না হয়। প্রধানমন্ত্রীকে বলা হবে – আমরা চেষ্টা করেছি এটা পিজিবল না।

এই পরিবর্তিত সিদ্বান্ত সন্দ্বীপের একজন লোকই জানার কথা তিনি হচ্ছেন এম পি মাহফুজুর রহমান মিতা। এই ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সন্দ্বীপের সাধারণ মানুষ কে প্রেস ব্রিফি করে জানানো তার দায়িত্ব বলে আমরা মনে করি। না হলে মানুষ তাকেও সন্দেহ করতে শুরু করবে।

গুপ্তছড়া ঘাটে কাদা চর বেশি প্রশস্ত হওয়ায় এবং কুলখারী (যে দুরুত্বে নৌ নাব্যতা আছে) দূরে হওয়ায় এবং ইতিপূর্বে দুইবার ড্রেজিং করার পর দুইমাস ও নাব্যতা ধরে রাখা যায় নি-এই অবস্থায় পুনরায় একই ঘাটে ড্রেজিং করার সিদ্বান্ত সন্দ্বীপ বাসীর সঙ্গে প্রহসন বলেই মনে করে অনেকে।

এসকেএম ফেরদৌস আরো বলেন, সন্দ্বীপের ফেরীর ( নৌযান ) জন্য ড্রেজিং কূলে ভেরার নাব্যতা কে দীর্ঘ সময় স্থায়িত্ব দিতে হলে কাদা চরে ড্রেজিং করা খালের দুই পাশে পিয়ার পিলার দিতে হবে।

নতুবা প্রতিদিন দুইবার জোয়ারের সময় উত্তরদিকে ও ভাঁটার সময় দক্ষিণ দিকের কয়েক ঘন্টার প্রবল স্রোতে ৩০ ফুট গভীর খাল চরের কাদা দিয়ে ১ সপ্তাহেই ভরে যাবে। নদীর পলি দিয়ে ভরতে অনেক মাস সময় লাগবে। মেইনটেনেন্স ছোট ড্রেজার দিয়ে মাঝে মাঝে কাজ করলেই এটা স্থায়ী হবে আশা করা যায়। এটা চিন্তা করা অতি গুরুত্ত্বপূর্ণ এই জন্য যে সন্দ্বীপ এর চারিদিকে নতুন চর আরো ২০ /৫০ বছর ধরে জাগতেই থাকবে।

ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ বলেন, যতদিন পর্যন্ত কুমিরা গুপ্তছড়া ঘাটের বিকল্প ঘাট উন্মুক্ত হবে না, ততদিন পর্যন্ত যাতায়াত ব্যাবস্থারও কোনো প্রকার উন্নতি হবে না। আর সন্দ্বীপ বাসী যাতায়াতের দূর্দশা থেকেও রেহাই পাবে না।

সর্বশেষ খবর ওশানটাইমস.কম গুগল নিউজ চ্যানেলে।

Tags: ,

oceantimesbd.com