চট্টগ্রাম বন্দরে অস্থিরতা সৃষ্টির আশঙ্কা

চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পণ্য হ্যান্ডলিংয়ের জন্য দরপত্র ছাড়া অপারেটর তালিকাভুক্তির পদক্ষেপের কারণে বন্দরের কর্মকাণ্ডে অস্থিরতা তৈরি করবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ শিপ হ্যান্ডলিং এন্ড বার্থ অপারেটর এসোসিয়েশন।

সংগঠনের চেয়ারম্যান একেএম শামসুজ্জামান রাসেল এ বিষয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কুতুবদিয়া বহির্নোঙর ও অন্যান্য বিশেষায়িত জেটিতে আসা দেশি বিদেশি জাহাজের পণ্য হ্যান্ডলিংয়ের জন্য রেগুলেশনস ফর ওয়ার্কিং অব চিটাগং পোর্ট (কার্গো অ্যান্ড কন্টেনার) ২০০১ এর প্রবিধানমালা অনুসরণ না করে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে ও দরপত্র ব্যতীত নতুন শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর তালিকাভুক্ত করতে একটি বোর্ড সভা আহ্বান করতে যাচ্ছে।

যেখানে চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মকাণ্ডে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ ও দক্ষ হওয়া স্বত্বেও অনেক স্টিভিডোরিং প্রতিষ্ঠান শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর হিসাবে তালিকাভুক্ত হতে ব্যর্থ হয়েছে। সংশোধিত এসআরও
এআইএন ২০০৭ সালে রেগুলেশনস ফর ওয়ার্কিং অব চিটাগং পোর্ট (কার্গো অ্যান্ড কন্টেনার) ২০০১ এর প্রবিধানমালা অনুযায়ী স্টিভিডোরিং পদ্ধতি বিলুপ্ত করা হয়েছে। সেখানে কুতুবদিয়া, বহির্নোঙর ও অন্যান্য বিশেষায়িত জেটিতে কাজের জন্য দরপত্র ব্যতীত শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর তালিকাভুক্তি ও নিয়োগ করা অত্যন্ত অযৌক্তিক ও বেআইনি।

বিবৃতিতে বলা হয়, এতে করে শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটরদের কাজের পরিমাণ কমে যাবে।

অপারেটরদের অধীনে বর্তমানে নিয়োজিত শ্রমিক–কর্মচারীরাও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। ফলশ্রুতিতে চট্টগ্রাম বন্দরে শ্রম অসন্তোষ দেখা দিতে পারে এবং যে কোনও সময় বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

সর্বশেষ খবর ওশানটাইমস.কম গুগল নিউজ চ্যানেলে।

Tags: , ,

oceantimesbd.com