‘বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগর ও ইন্দো-প্যাসিফিকে প্রধান অংশীদার’

বাংলাদেশকে বঙ্গোপসাগর ও ইন্দো-প্যাসিফিকের প্রধান অংশীদার (স্টেকহোল্ডার) হিসেবে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমুদ্রবিষয়ক সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম বলেছেন, বঙ্গোপসাগর এলাকায় শক্তিশালী অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ বৃহত্তর ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

সবার অভিন্ন সমৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ একটি অবাধ, উন্মুক্ত, শান্তিপূর্ণ, সুরক্ষিত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ইন্দো-প্যাসিফিকের স্বপ্ন দেখছে জানিয়ে সচিব বাংলাদেশের ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুক তুলে ধরে বলেন, আউটলুকে কোনো অসঙ্গতি নেই এবং আগের অবস্থান থেকে সরে যাওয়ারও কোনো সুযোগ নেই। প্রতিটি দেশেরই যেমন আমাদের প্রয়োজন, তেমনি আমাদেরও প্রয়োজন অন্যদের। ইন্দো-প্যাসিফিক তীব্র কৌশলগত প্রতিযোগিতা ও অর্থনৈতিক আধিপত্যের ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সোমবার ‘কানাডার ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল ও বাংলাদেশের আউটলুক : প্রধান ক্ষেত্রগুলোতে গভীর দৃষ্টি’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সচিব খুরশেদ আলম। সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্ন্যান্স এবং বাংলাদেশে কানাডীয় হাইকমিশনের যৌথ আয়োজনে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত কানাডীয় হাইকমিশনার লিলি নিকোলস।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (এনএসইউ) উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্যানেল আলোচক ছিলেন পিইউএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ইমাইক্রোগ্রাফ বিজনেস সলিউশনের সিইও নূর মাহমুদ খান, মাল্টিন্যাশনাল ব্যাংকের হেড অব করপোরেট মমতাজুল কে এন আহমেদ, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ। সঞ্চালনা করেন এনএসইউ’র পরিচালক প্রফেসর এস কে তৌফিক এম হক।

ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও বৈরী ও একচেটিয়া হয়ে উঠেছে উল্লেখ করে খুরশেদ আলম বলেন, বাংলাদেশ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধিকে দেশের রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ বাস্তবতা’ বলে মনে করে। বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় দেশ বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে একটি আধুনিক জ্ঞানভিত্তিক ও উন্নত দেশও হতে চায়। তাই বাংলাদেশের জন্য ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে।

বাংলাদেশ ও কানাডার ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়ে অবস্থান অভিন্ন বলে মনে করেন দেশটির হাইকমিশনার। তিনি বলেন, কানাডা তার অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতার সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চায়। কারণ এতে কানাডার স্বার্থও রক্ষা হবে।

লিলি জানান, আগামী দশকে কানাডীয় কৌশলের আওতায় দেশটির সরকার এ অঞ্চলে সম্পৃক্ততা বাড়াতে একটি বিস্তৃত কাঠামো গড়ে তুলবে। কৌশলটির প্রথম পাঁচ বছরে নতুন উদ্যোগে প্রায় ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ রয়েছে। কানাডা সরকার ২০২৬ সালে এ উদ্যোগের বিস্তারিত প্রকাশ করবে। এতে ২০২৭ থেকে ২০৩২ অর্থবছরের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ ও বিনিয়োগের বিষয়গুলো থাকবে।

সর্বশেষ খবর ওশানটাইমস.কম গুগল নিউজ চ্যানেলে।

Tags: , , , , , , , ,

oceantimesbd.com