নৌ-যান শ্রমিকদের ধর্মঘটে অচল দেশের সব নৌপথ

সমুদ্র ভাতা দেওয়া, মজুরি বৃদ্ধিসহ ১০ দফা দাবিতে শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকে সারাদেশে চলছে অনির্দিষ্টকালের নৌযান ধর্মঘট।

শনিবার (২৬ নভেম্বর) রাত ১২টা থেকে দেশের সব নদী বন্দরে সব ধরনের নৌযান নোঙর করে রেখেছেন শ্রমিকরা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

শ্রমিকদের ১০ দফা দাবি হলো- নৌযান শ্রমিকদের নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র ও সার্ভিস বুক প্রদানসহ শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ, খাদ্য ভাতা ও সমুদ্র ভাতার সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড ও নাবিক কল্যাণ তহবিল গঠন করা, দুর্ঘটনা ও কর্মস্থলে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ করা, চট্টগ্রাম থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল সরবরাহে দেশের স্বার্থবিরোধী অপরিণামদর্শী প্রকল্প বাস্তবায়নে চলমান কার্যক্রম বন্ধ করা, বালুবাহী বাল্কহেড ও ড্রেজারের রাত্রিকালীন চলাচলের উপরে ঢালাও নিষেধাজ্ঞা শিথিল, নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধ, ভারতগামী শ্রমিকদের লান্ডিং পাস প্রদানসহ ভারতীয় সীমানায় সব ধরনের হয়রানি বন্ধ করা, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন নীতিমালা শতভাগ কার্যকর করে সকল লাইটারিং জাহাজকে সিরিয়াল মোতাবেক চলাচলে বাধ্য করা, চরপাড়া ঘাটে ইজারা বাতিল ও নৌ-পরিবহন অধিদফতরের সব ধরনের অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা বন্ধ করা।

এ ধর্মঘটের বিষয়ে নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আতিকুল ইসলাম বলেন, আমদের ১০ দফা দাবি আদায় না হওয়ায় আমরা ধর্মঘটে গিয়েছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।

তিনি আরও বলেন, ২০১৬ সালে পাঁচ বছরের জন্য ঘোষিত মজুরি কাঠামোর মেয়াদ ২০২১ সালের ৩০ জুন শেষ হয়েছে। কিন্তু তার এক বছর পাঁচ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও নতুন মজুরি কাঠামো ঘোষণার কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।

নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক খলিলুর রহমান বলেন, আমাদের ১০ দফা দাবিতে ধর্মঘট চলছে। তবে তিনটা দাবির প্রতি আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। তিনটা দাবি হলো- নৌপরিবহণ শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ, ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাশ প্রদানসহ ভারতীয় সীমানায় সব হয়রানি বন্ধ এবং দুর্ঘটনা ও কর্মস্থলে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ ২ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ।

সর্বশেষ খবর ওশানটাইমস.কম গুগল নিউজ চ্যানেলে।

Tags: , , ,

oceantimesbd.com