বেতন বাড়ানো সম্ভব নয়, ধর্মঘটে উল্টো লাভ হবে: দাবি লঞ্চ মালিকদের

ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণসহ ১০ দফা দাবিতে সারা দেশে শনিবার মধ্যরাত থেকে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করছেন নৌযান শ্রমিকরা। এতে দেশজুড়ে দ্বিতীয় দিনের মতো বন্ধ রয়েছে নৌপথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন। বন্ধ রয়েছে পণ্য খালাস এবং ওঠা-নামাও।

একই দাবিতে লাইটার জাহাজ শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে চট্টগ্রাম থেকে নৌ-পথে পণ্য পরিবহন বন্ধ রয়েছে। বন্দরের বর্হিনোঙ্গরে বড় জাহাজ থেকে ছোট জাহাজে পণ্য খালাস বন্ধ থাকায় তৈরী হয়েছে অচলাবস্থা। এতে নোঙ্গর করে অলস বসে আছে ২২টি বিদেশি জাহাজ। ফলে বন্দরের বর্হিনোঙ্গরে আটকা পড়েছে ভোগপণ্য শিল্পের বাঁচামাল, সার ও নির্মাণ উপকরণ।

এ বিষয়ে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের বরিশাল বিভাগীয় সভাপতি আবুল হাসেমও। তিনি বলেন, ‘সরকার ও নৌযান মালিকেরা ২০১৬ সালে সর্বশেষ এ খাতের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পুনর্নির্ধারণ করেছিল। এরপর কয়েক দফা বেড়েছে দ্রব্যমূল্য ও ভাড়া। কিন্তু শ্রমিকদের উন্নতি হয়নি। আমরা চাই আমাদের যৌক্তিক দাবিগুলো মানা হোক। তবে এখন পর্যন্ত সরকারসহ কোনো পক্ষ থেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি। আর আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে।’

নৌযানশ্রমিকদের দাবি ও কর্মবিরতির বিষয়ে লঞ্চ মালিকদের সংগঠন অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল সংস্থার সহসভাপতি সাইদুর রহমান বলেন, গত শুক্রবার প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান তাঁর দপ্তরে মালিক-শ্রমিকদের একটি সভা ডেকেছিলেন। সেখানে আমাদের সংগঠনের সভাপতিসহ আমরা এবং শ্রমিকদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে শ্রম প্রতিমন্ত্রী এক মাসের মধ্যে নৌযানশ্রমিকদের বেতন-ভাতাসংক্রান্ত একটি নীতিমালা প্রণয়নের জন্য সময় নিয়েছেন। কিন্তু শ্রমিকদের প্রতিনিধিরা শনিবার তাঁদের সিদ্ধান্ত জানানোর কথা বলে সভাস্থল ত্যাগ করেন। এরপর শনিবার কিছুই জানাননি তাঁরা। এরপর শ্রমিকেরা কর্মবিরতিতে যান।

সাইদুর রহমান বলেন, ‘এই মুহূর্তে লঞ্চ ব্যবসার অবস্থা মন্দা। আমরা এ ব্যবসা বন্ধ করে দিতে পারলে বাঁচি। সেই মুহূর্তে ধর্মঘট ডাকলে আমাদের ক্ষতির চেয়ে লাভই হবে। আর আমাদের পক্ষে এই মুহূর্তে বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করা অসম্ভব।’

এদিকে লাইটার জাহাজ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. ইছা মিয়া জানিয়েছেন, দাবি না মানা পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে অনড় অবস্থানে থাকবেন তারা।

তবে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান চান বলেও জানিয়েছেন তিনি।

সর্বশেষ খবর ওশানটাইমস.কম গুগল নিউজ চ্যানেলে।

oceantimesbd.com