বনবিভাগের জায়গা দখলের চলছে মহোৎসব, খোঁজ নেই বনবিভাগের

চকরিয়া ইসলামনগরে বন বিভাগের জায়গা দখলের অভিযোগ দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে, এইছাড়াও মালুমঘাট বাজার, হারবাং বরইতলী, কৈয়ারবিল কাকারা সহ বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রতিযোগিতা দিয়ে দখল নিচ্ছে বন বিভাগের জায়গা স্থানীয়রা, আবার কয়েকটি স্থানে দখল করতে গিয়ে মারামারিও হচ্ছে। খোঁজ নেই বনবিভাগের কতৃপক্ষের।

স্থানীয় নলবিলা বিটের গেইটম্যান ইব্রাহিম ও মানিক বনবিভাগের জায়গা দখল করে নির্মাণ করলেন পাকা বাড়ি। অভিযোগ দেয়ার পরও বনবিভাগ তাদের জায়গা ফেরত পায়নি।

১৯২৭ সালের সংশোধিত বন আইন এবং ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে সংরক্ষিত ও রক্ষিত বনে কোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণ বা পরিচালনা করার ওপর বিধিনিষেধ রয়েছে। তবে চকরিয়া উত্তর বিটের এলাকার চিত্র ভিন্ন। কাগজে-কলমে এ জায়গা সরকারি গেজেটভুক্ত রক্ষিত ও সংরক্ষিত বন হলেও সেখানে বনের জায়গা দখল করে বসতবাড়ি নির্মাণের হিড়িক পড়েছে। সরকারি বনভূমি জবরদখল এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংস করেই চলছে এ অবকাঠামো নির্মাণ।

কক্সবাজার উত্তর ফাঁসিয়াখালী বিট কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিনের বলেন, বনবিভাগের জায়গা জবরদখল থেকে পুনরুদ্ধার করতে আমরা অভিযান পরিচালনার উদ্যোগ নিয়েছি। যাদের বিরুদ্ধে জায়গা দখল সংক্রান্ত মামলা আছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যাদের পিওআর মামলা নেই তাদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ মামলা দায়ের করা হবে।

এলাকাবাসীর সুত্রে জানা যায়, চকরিয়াতে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নিজের মনে করে জোরদখল করে নিচ্ছেন বন বিভাগের জমি। বন কেটে জমিতে তৈরী করছে পাকা বাড়ি নিমার্ণসহ বানিজ্যিক স্থাপনা। এছাড়াও জমিতে গড়ে উঠছে বসতবাড়ি। এখন দেখলে মনে হয় না এটা বন ছিল।

বনবিভাগের জায়গা দখল করে স্থানীয়রা বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে শুরু করে মসজিদ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। স্থানীয়রা বাইরের লোকজনের কাছে দখলকৃত জমি চড়াও দামে বিক্রিও করছেন। দখলদার থেকে জায়গা কিনে নির্দ্বিধায় বাড়ি নির্মাণ করে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে লোকজন। এদিকে কোন কিছু জানেন না বন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।

বিট কর্মকর্তা আরো বলেন, বনের জায়গায় বাড়ি নির্মাণের সুযোগ নেই। যারা করছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। বনের জায়গা জবরদখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।

এলাকাবাসীর দাবি, সরকারি জমি রক্ষিত হোক ও বনাঞ্চলের জায়গা গুলো বন দ্বারা সংরক্ষিত থাকুক।

সরকারি সম্পত্তিতে পাকা বাড়ি নির্মাণে বনবিভাগ কর্তৃপক্ষ বাধা দিলেও বনবিভাগের জায়গায় পাকা স্থাপনা নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে বনখেকোরা।

সর্বশেষ খবর ওশানটাইমস.কম গুগল নিউজ চ্যানেলে।

Tags: , , , ,

oceantimesbd.com