সেন্ট মার্টিনের কোরাল রিপ পর্যবেক্ষণে একদল ডাইভার

পৃথিবীর নানা দেশের, নানা সমুদ্রে তারা ডাইভ করেছেন। দেখেছেন সমুদ্রের নিচের সৌন্দর্য। থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া কিংবা মালদ্বীপ- এসব দেশের সন্নিহিত সমুদ্রে অবস্থিত প্রবাল দ্বীপগুলোর সৌন্দর্যে বিমোহিত হয়েছেন তারা সবাই।

এমন আটজন সমুদ্রের ডাইভার (স্কুবা ডাইভার) এবার নামতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনের পানিতে। সারাবিশ্বের মধ্যে অন্যতম বৈশিষ্ট্যপূর্ণ প্রবালদ্বীপটির কথা তারা শুধু শুনেছেনই। শুনেছেন সামুদ্রিক জীব-বৈচিত্র্যেরজন পৃথিবীবিখ্যাত এই সেন্টমার্টিন।

আবার এটাও শুনেছেন, নানারকম দখল দূষণের কারণে সেন্টমার্টিন আজ ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে। সেই দূষণ এবং ক্ষতিগ্রস্থ প্রবাল দেখতে সেন্টমার্টিনের সমুদ্রে ডাইভ করবেন ওই আট ডাইভার।

ওই আটজন হলেন আসাদুজ্জামান, সাজ্জাদ হোসাইন, তালাল, সজন সরকার এবং অন্য চারজন। এর মধ্যে আসাদুজ্জান হলেন ইন্টারন্যাশনাল ডাইভিং ইনস্ট্রাক্টর।

তাদের উদ্দেশ্য সেন্টমার্টিনের চারপাশ ঘিরে থাকা প্রবাল প্রাচীরের কী অবস্থা সেটা সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করা। দূষণের কারণে প্রবালের কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, জীব-বৈচিত্র্যের যে সমাহার থাকার কথা, সে সব ঠিক আছে কি না, তা দেখাই এই ডাইভার দলের মূল উদ্দেশ্য।

সেন্টমার্টিনের প্রবাল প্রাচীর পর্যবেক্ষণ শেষে একটা গবেষণা রিপোর্ট তৈরি করে তা দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওশেনোগ্রাফি কিংবা মেরিন সায়েন্স বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়াই মূল লক্ষ্য। এছাড়া সুযোগ পেলে সেই গবেষণা রিপোর্ট মিডিয়াতেও প্রকাশ করার ইচ্ছা রয়েছে তাদের।

আটজনের এই দলে রয়েছেন সাজ্জাদ হোসেইন। যিনি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রফেশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব ডাইভারস (প্যাডি) থেকে ডাইভিংয়ের ওপর সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত। তিনি জানিয়েছেন, আমরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সমুদ্রে ডাইভিং করেছি। কিন্তু নিজ দেশের সেন্টমার্টিন দেখা হয়নি কখনো। এবার এসেছি সেন্টমার্টিন দেখতে। এখানকার কী অবস্থা, কোরালের কী কী ধরনের ক্ষতি হয়েছে, বর্তমান সময়ে কী অবস্থায় আছে তা দেখাই আমাদের উদ্দেশ্যে। অন্য দেশের সঙ্গে তুলনা করে এ নিয়ে একটা গবেষণা প্রতিবেদনও তৈরি করা উদ্দেশ্য আমাদের।’

সর্বশেষ খবর ওশানটাইমস.কম গুগল নিউজ চ্যানেলে।

Tags: , ,

oceantimesbd.com