ওশানটাইমস ডেস্ক : ৬ মার্চ ২০২৩, সোমবার, ১২:২২:৩৪
দেশি ১৫ প্রজাতির মাছে প্লাস্টিকের ক্ষুদ্র কণার (মাইক্রোপ্লাস্টিক) উপস্থিতি পাওয়ার খবর সম্প্রতি প্রকাশ করেছে কয়েকটি সংবাদমাধ্যম। তবে গবেষণায় সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তারা কেবল দুটি এলাকার কিছু মাছের নমুনা নিয়ে গবেষণা করেছেন। এই গবেষণার ফলাফল পুরো দেশের চিত্র প্রকাশ করে না।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের গবেষণায় এসেছে,‘অ্যাবানড্যান্স, ক্যারেকটারিসটিকস অফ মাইক্রোপ্লাস্টিক ইন ডিফারেন্ট ফ্রেশ ওয়াটার ফিশ স্পিশিজ ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামে গবেষণা নিবন্ধটি সম্প্রতি আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষণার ১৮ দেশীয় প্রজাতির ৪৮টি মাছ সংগ্রহ করে পরীক্ষা করেন। এর মধ্যে ১৫ প্রজাতির মাছে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি পাওয়া যায়।
গবেষণাসংশ্লিষ্টরা বলছেন, যেসব জলাধার থেকে নমুনা মাছগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে, সেখানে দূষণের মাত্রা অনেক বেশি। ফলে উদ্বেগজনক ফলাফলটিকে সারা দেশের চিত্র হিসেবে ধরে নেয়ার সুযোগ নেই।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নদী বা অন্য জলাধারে দূষণের মাত্রার ওপরে মাছে মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে। সে ক্ষেত্রে গ্রামে বা হাওর অঞ্চলে এই একই প্রজাতির মাছে প্লাস্টিক নাও পাওয়া যেতে পারে।
এসব মাছের পেটে প্লাস্টিকের ক্ষুদ্র কণা কীভাবে আসে, মূলত মাছের পেটে তিন ধরনের প্লাস্টিক পাওয়া গেছে। একটা হচ্ছে হাইডেনসিটি পলিথিন (এইচডিপি), আর একটা মূলত যে শ্যাম্পুর বোতল, জুসের বোতল বা ফার্মিংয়ের কাজে যে পাইপ ব্যবহার করা হয় সেখান থেকে আসে। এগুলোতে হাইডেনসিটি পলিথিন থাকে।’
ব্যাখ্যা দিয়ে গবেষকরা বলেন, ‘আমরা যখন এগুলো ব্যবহার করে বাইরে ফেলে দিই, তখন অনেক দিন ধরে সূর্যের আলোতে তাপ পেয়ে ভেঙে ছোট ছোট কণায় পরিণত হয়। এরপর পানিতে পৌঁছায়।
‘আর এক ধরনের হচ্ছে পলিথিন বা পলিইথিলিন যেটা আমরা প্রতিদিন ব্যবহার করে থাকি। আমরা প্রতিদিন এই পলিথিন পানিতে ফেলে দিই।’
সর্বশেষ খবর ওশানটাইমস.কম গুগল নিউজ চ্যানেলে।
Tags: ওয়াটার ফিশ, পরিবেশবিজ্ঞান, প্লাস্টিক, মাইক্রোপ্লাস্টিক
For add