কি রহস্য মহাসাগরের তলদেশে

 

আটলান্টিক মহাসাগরের গভীরে কি আছে সেটা জানার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীদের একটি দল। মহাসাগরের তলদেশের রহস্য ভেদ করার এই অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা।

এই প্রকল্পটির নাম অ্যাটলাস। ইউরোপ এবং উত্তর অ্যামেরিকার ২৪টি গবেষণা প্রতিষ্ঠান এই অভিযানে অংশ নিচ্ছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, তাদের এই গবেষণাটির উদ্দেশ্য হচ্ছে আটলান্টিক মহাসাগরের গভীরের অজানা পরিবেশ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া এবং এই মহাসাগরের স্রোতধারায় যে পরিবর্তন ঘটছে জলবায়ুর ওপর তার কি ধরনের প্রভাব পড়ছে সেটা সম্পর্কে জানা।

এবিষয়ে এতো বড়ো ধরনের গবেষণা এর আগে কখনোই হয়নি মহাসাগরের গভীরে, রহস্যের সন্ধানে এসময় মহাসাগরের তলদেশ থেকে সংগ্রহ করা হবে বহু নমুনা, বহু কিলোমিটার নিচে পানিতে যেসব প্রাণী বসবাস করে সেগুলোকে ধারণ করা হবে ভিডিওতে।

এই গবেষণার সাথে জড়িত আছেন হেরিয়ট-ওয়াট বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্র বিজ্ঞানী প্রফেসর জে মারি রবার্টস।

তিনি বলছেন, মহাসমুদ্রের তিন থেকে চার হাজার মিটার গভীরে এই গবেষণা -অভিযান চালানো হবে।

“আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশের কোথাও কোথাও পরিবেশ ও প্রতিবেশ খুবই বৈচিত্র্যময়। খুবই সমৃদ্ধ সেখানকার ইকো-সিস্টেম। আছে নানা রকমের কোরাল ও স্পঞ্জ, আর বিচিত্র সব প্রাণী।”

তলদেশে বিচিত্র সব উদ্ভিদ ও প্রাণী এই গবেষণায় নানা রকমের যান ব্যবহার করা হয়। সমুদ্রের গভীরে পাঠানো সেসব যানের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয় রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে।

এগুলোকে বলতে পারেন রোবটিক সাবমেরিন। এসব যান সমুদ্রের তলদেশে হাঁটাচলা করতে পারে। এগুলোর হাত ও পা আছে যা দিয়ে তারা সংগ্রহ করতে পারে বিভিন্ন রকমের নমুনা। তারপর সেসব নিয়ে আসা হয় গবেষণাগারে।

অ্যাটলাস প্রকল্পের বিজ্ঞানীরা আটলান্টিক মহাসাগরের গভীরে বহু স্থানেই এসব যান পাঠাবেন। রোবটিক সাবমেরিন আর সি-গ্লাইডার পাঠিয়ে সেখান থেকে সংগ্রহ করে আনবেন নানা ধরনের নমুনা।

এছাড়াও এসব যন্ত্রে বসানো জিপিএস প্রযুক্তির সাহায্যে সমুদ্রের গভীর থেকে সংগ্রহ করা হবে বিরল সব তথ্য।

এসব নিয়েই শুনুন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্র বিজ্ঞানী প্রফেসর সাইদুর রহমান চৌধুরীর সাক্ষাৎকার।

কোনো কিছু শেখার ঠিক চার ঘণ্টা পর যদি শরীর চর্চা বা ব্যায়াম করা হয় তাহলে যেটা শিখেছি সেটা বেশ ভালোভাবে মনে রাখা যায়।

কোনো কিছু মনে রাখার ব্যাপারে এই কৌশলের কথা বলছেন ডাচ বিজ্ঞানীরা। ৭২ জন মানুষের স্মৃতিশক্তির ওপর তারা গবেষণাটি চালিয়েছেন।

সূত্র: বিবিসি

সর্বশেষ খবর ওশানটাইমস.কম গুগল নিউজ চ্যানেলে।

Tags: ,

oceantimesbd.com