জোয়ারের পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁশবাড়িয়া সৈকতের বনাঞ্চল

ছবি: ওশানটাইমসবিডি.কম

নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত। প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শনার্থী এখানে আসেন একটু প্রশান্তির খোঁজে। কিন্তু গত কয়েকবছর জোয়ারের পানিতে বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকতের উপকূলীয় বনাঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সৈকতে থাকা ঝাউগাছগুলো উপড়ে পড়েছে।

এই সৈকতটি পর্যটকদের আকর্ষণ করত। কারণ, ঝাউবাগানের বাইরে রয়েছে বিশাল চর। এমন প্রাকৃতিক পরিবেশে মানুষ খুঁজতে যেত শান্তির পরশ। এখানে হতো পিকনিকসহ নানা অনুষ্ঠান। গত তিন-চার বছর ধরে জোয়ারের ঢেউ ও স্রোতে ভাঙতে শুরু করে পর্যটন ও বিনোদনের এ জনপ্রিয় সৈকতটি।

ছবি: ওশানটাইমসবিডি.কম

এভাবে ভাঙতে থাকলে সৈকতের ঝাউগাছ এক সময় পুরোপুরি বিলীন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। উপকূলীয় বনবিভাগ কর্তৃপক্ষ বলছে, জোয়ারের পানির আঘাতে গাছগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সৈকতটি রক্ষা করতে হলে দ্রুততম সময়ে ম্যানগ্রোভ বনায়ন করতে হবে। না হলে জোয়ারের পানিতে এ ভাঙন রোধ করা যাবে না।’

স্থানীয় দোকানদার আবুল হাশেম জানান, ‘এখানে পর্যটকরা আসলে আমাদের আয় করার সুযোগ বাড়ে। কিন্তু এখন পর্যটকদের আনাগোনা কমে গেছে। করোনার পর থেকে লোকজন আসে না বললেই চলে।’

ছবি: ওশানটাইমসবিডি.কম

স্থানীয়রা বলছে, ‘বেড়িবাঁধের বাইরের ঝাউ বাগান থেকে সমুদ্র ছিল আরো অন্তত এক কিলোমিটার দূরে। এখন এক কিলোমিটার হাঁটাপথ আর নেই।’

বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী জানান, ‘এই বনাঞ্চল রক্ষার জন্য আমরা বনবিভাগকে জানিয়েছি। আশা রাখি তারা এ বিষয়ে ভালো কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।’

ছবি: ওশানটাইমসবিডি.কম

উল্লেখ্য, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের ফলে ২০১৩ সালের দিকে সৈকতটি জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্নস্থান থেকে পর্যটকরা আসা শুরু করে। নানা স্কুল, কলেজ, সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান থেকে পর্যটকরা দল বেধে আসতো এই সৈকতে।

ছবি: ওশানটাইমসবিডি.কম

কিন্তু ধীরে ধীরে পর্যটকের সংখ্যাটা কমে গেছে। আগত পর্যটকরা মনে করেন, বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকতের এই সৌন্দর্য রক্ষা করা গেলে এটিও দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হবে।

ছবি: ওশানটাইমসবিডি.কম

ছবি: ওশানটাইমসবিডি.কম

ছবি: ওশানটাইমসবিডি.কম

সর্বশেষ খবর ওশানটাইমস.কম গুগল নিউজ চ্যানেলে।

Tags: , , ,

oceantimesbd.com