কলাগাছিয়া ইকো ট্যুরিজম সেন্টারে গেলেই স্বাগত জানাবে একদল বানর, আশপাশে ঘুরবে হরিণ

 

 

ছবি: ওশানটাইমসবিডি.কম

সাতক্ষীরা রেঞ্জ পশ্চিম বন বিভাগের আওতাধীন কলাগাছিয়া টহল ফাঁড়ি ও ইকো-ট্যুরিজম কেন্দ্র এখন পর্যটকের পদচারণায় মুখর। দেশের দূর-দূরান্ত থেকে দলবেঁধে আসছেন পর্যটকরা। ‘সাতক্ষীরার আকর্ষণ, সড়ক পথে সুন্দরবন’ – এ স্লোগান এখন বাস্তবে রূপ নিয়েছে।

সড়ক পথে সাতক্ষীরার মুন্সীগঞ্জ হয়ে বুড়িগোয়ালিনী খেয়াঘাট থেকে কলাগাছিয়া ইকো-ট্যুরিজমে পৌঁছলেই একঝাঁক বানর ছুটে এসে স্বাগত জানায় পর্যটকদের। এরপর দেখা যায়, কিছু হরিণ আশপাশেই ঘুরাঘুরি করছে। এছাড়া আছে শ্বাসমূলে ভরা গেওয়া, গরান, বাইন, পশুর, গোলপাতা, হোগলা পাতাসহ মোট ৩৩৪ প্রজাতির উদ্ভিদ। রয়েছে কুমির, মদন টাকসহ হাজারো প্রাণবৈচিত্র্য।

সুন্দরবন ভ্রমণ উপভোগ করতে শীতের শুরু থেকে (নভেম্বর-জানুয়ারি) পর্যন্ত পর্যটকের পদচারণায় মুখর সুন্দরবনের এই ভ্রমণ স্পট কলাগাছিয়া ইকো-ট্যুরিজম কেন্দ্র। সুন্দরবন সংলগ্ন জেলা সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটক আসছেন এখানে। মেতে উঠছে সুন্দরবনের নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে।

ছবি: ওশানটাইমসবিডি.কম

ইকো-ট্যুরিজম সেন্টারের ওয়াচ টাওয়ারে উঠে যতদূর চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ। এক কথায় সবুজের সমরোহ। কলাগাছিয়া ইকো ট্যুরিজম সেন্টার ভ্রমণে এসে পর্যটকরা কেউ বানরের সঙ্গে খেলায় মত্ত, কেউ বা ছবি কিংবা সেলফি তুলেই হারিয়ে যেতে চান প্রকৃতি সৌন্দর্য্যের মাঝে।

সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, মায়াবী শিংওয়ালা সব হরিণ আপনার পিছু পিছু ঘুরতে থাকবে। যদি হাতে মুরি বা চিপস জাতীয় খাবার থাকে সেগুলো খাওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে যায় হরিণগুলো। লোকালয় থেকে বেশ দূরে বনের ভেতরে এই ট্রেইলগুলো দিয়েই পর্যটকগন পায়ে হেঁটে যায়। এখানে বনজ বৃক্ষের সারিতে নিস্তব্ধতায় ছেয়ে থাকে চারপাশ। তবে সব নীরবতা ভেঙে বানরের ডাক আর ভেঙচিকাটা ভয়ের সঞ্চার করে।

ছবি: ওশানটাইমসবিডি.কম

ট্রেইলের আশপাশে এত ঘন বৃক্ষ যে, দৃষ্টিসীমা নেমে আসে কয়েক গজের মধ্যে। আর সঙ্গে তো বাঘের ভয় আছেই। সে এক অন্যরকম অনুভূতি। ভয় জড়ানো রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা সম্পর্কে ঘুরতে আসা পর্যটক ইমরান হোসেন জানান, বনের বানরের সঙ্গে খেলা করতে পেরে বেজায় খুশি। বানরকে খাবার খাওয়াতে পেরে আনন্দে আটখানা তিনি।

ছবি: ওশানটাইমসবিডি.কম

পর্যটক ফয়সাল আহমেদ শুভ্র জানান, সাগর কোলে গাছঘেরা সুন্দরবনের নান্দনিক দৃশ্য তাকে বারবার কাছে টানে। আবেগ উজাড় করে সে আওড়ায়,‘কবির ভাষায়- এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে না কো তুমি, সকল দেশের রাণী সে যে আমার জন্মভূমি…।’

সাতক্ষীরা রেঞ্জ-এর সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) ইকবাল হোসাইন চৌধুরী জানান, পদ্মা সেতু হওয়ার পরে সাতক্ষীরা রেঞ্জে পর্যটকদের আনাগোনা অনেকগুন বেড়ে গেছে। বিশেষ করে ‘সড়কপথে সুন্দরবন’ স্লোগানটি একটি ব্রান্ডিং।

ছবি: ওশানটাইমসবিডি.কম

সর্বশেষ খবর ওশানটাইমস.কম গুগল নিউজ চ্যানেলে।

Tags: , , ,

oceantimesbd.com