৪ দিন হেঁটে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত পাড়ি দিলেন ৭ ভারতীয় পর্যটক

দীর্ঘ চারদিন পায়ে হেঁটে বিশ্বের সর্ববৃহৎ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত পাড়ি দিলেন ভারতীয় ৭ পর্যটকসহ ৯ জন। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে যাত্রা শুরু করে গতকাল নাজিররারটেকে গিয়ে পথযাত্রা শেষ করেন তারা। বিদেশী পর্যটক হিসেবে এটাই কারো প্রথম রেকর্ড বলে দাবি এই অভিযাত্রীদের।

জানা যায়, দূষণমুক্ত সমুদ্র সৈকত ও উপকূলে উন্নত শিক্ষার দাবি নিয়ে ১২০কিলোমিটার দীর্ঘ এই সৈকত পাড়ি দিতে কক্সবাজার আসেন হাওড়া অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের ৭ সদস্য। পরে তাদের সঙ্গে যুক্ত হন বাংলাদেশি আরও ২ অভিযাত্রী। টানা ৪ দিন হেটে বুধবার সৈকতের শেষ প্রান্ত নাজিরারটেকে গিয়ে অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করেন তারা। শুধু বিচ পাড়ি দেননি, অভিযানকালে স্থানীয় বিদ্যালয়গুলিতে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে নানান শিক্ষা সামগ্রী এবং সচেতনতামূলক বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন এই অভিযানের সদস্যেরা।

অভিযাত্রীরা জানান, এই অভিযানের মাধ্যমে বিশ্বের মানুষের কাছে সমুদ্র সৈকত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার বার্তা দিতে চান তারা। একইসঙ্গে সমুদ্র তীরবর্তী (উপকূলীয়) গ্রামগুলিতে শিক্ষার প্রসার ঘটাতে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়ার দাবি এবং রক্তদানের গুরুত্ব বোঝানোর চেষ্টা করেছেন তারা।

এ প্রসঙ্গে অভিযাত্রীদের একজন উজ্জ্বল দাস বলেন, “ভারতের বিভিন্ন সমুদ্র সৈকত ‘বিচ হাইকিং’ অর্থাৎ ভারতীয় কথায় ‘কোস্টাল ট্রেক’-প্রচুর হয়। তবে গত কয়েক বছর ধরেই আমাদের লক্ষ্য ছিল বিশ্বের এই দীর্ঘতম সি বিচ হেটে পাড়ি দিবো। মাঝে করোনা মহামারির কারণে কিছুটা আশাহত হতে হয়। তবে শেষ পর্যন্ত আমরা সফল হলাম।”

অভিযাত্রী দলের অপর সদস্য কাজল মজুমদার বলেন, বাংলাদেশ সরকারি রেকর্ড অনুযায়ী প্রাকৃতিক সবচেয়ে দীর্ঘ সি বিচে এই ধরনের অভিযান এই প্রথম। এই অভিযানের মূল যাত্রা চার দিনের হলেও সম্পূর্ণ অভিযানটি ছিল দশ দিনের। হাওড়া থেকে গত ১২ ফেব্রুয়ারি যাত্রা শুরু করেছিলাম আমরা। হাওড়া থেকে ঢাকা তারপর টেকনাফ হয়ে নাজিরারটেক (কক্সবাজার)। যদিও এই যাত্রা শুরুতে আমাদের কিছুটা সমস্যায় সম্মুখীন হতে হয়েছিল। তবে তাঁদের অদম্য ইচ্ছাশক্তি এবং জেদ সব বেড়াজালকে ছিন্ন করে লক্ষ্য পূরণে পৌঁছে দেয়।

সর্বশেষ খবর ওশানটাইমস.কম গুগল নিউজ চ্যানেলে।

Tags: , , ,

oceantimesbd.com