যেভাবে ১২০ কিলোমিটারের কক্সবাজার সৈকত পাড়ি দিলেন ৯ পর্যটক

ভারত ও বাংলাদেশের পতাকা হাতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সৈকত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত পাড়ি দিলেন ভারতীয় ৭ জনসহ ৯ পর্যটক। টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি হাঁটা শুরু করে গতকাল ২২ ফেব্রুয়ারি নাজিরারটেকে গিয়ে পৌঁছান এই পর্যটকরা। সফর শেষে অভিযাত্রী দলের সদস্য উজ্জল দাস তুলে ধরেন তাদের এই অভিযাত্রার বর্ণনা।

তিনি জানান, প্রথম দুদিন মোটামুটি স্বাভাবিকভাবে এগিয়ে গেলেও তৃতীয় দিনে বেশ বেগ পেতে হয়েছে তাদের। তৃতীয় দিন ‘পাটুয়ার টেক’ থেকে যাত্রা শুরু করেন তারা।

তিনি বলেন, ‘আগের রাতে তাবু খাটাতে হওয়ায় সেদিন বেরোতে দেরি হয়েছিল। সারারাতে তাবু কুয়াশায় ভিজে গিয়েছিলো, রোদে ভেজা তাবু শুকিয়ে ফের শুরু করতে হবে যাত্রা। সেই সুযোগে প্রাতরাশ সেরেই বেরিয়েছিলাম। শুরু করতে করতে আমাদের সকাল ১০ টার কাছাকাছি হয়ে গিয়েছিলো। এদিন পুরো রাস্তাটায় টুরিস্ট স্পটের ওপর দিয়েই যেতে হয়েছে। আমরা সৈকত পরিষ্কার করতে করতে এগিয়ে গেছি। সৈকতে পরে থাকা প্লাস্টিক কুড়িয়ে তা প্রশাসনের নির্দিষ্ট ঠিক করে দেওয়া জায়গায় ফেলে দেই। সকাল থেকে সবার শরীর চাঙ্গা থাকায় চলার গতি যথেষ্ট ভালোই ছিল। তবে পথে, সমুদ্রের পানি ঢুকে সৈকতে ছোট ছোট জলাশয় তৈরী হয়ে যাওয়ায় বারবার জুতো খুলতে হয়েছিল। ”

তিনি আরও বলেন, ইনানি পৌঁছে টুরিস্ট পুলিশ কিয়স্কে ডাব খেয়ে, ছোট একটি খাল অতিক্রম করে ফের জুতো পরে চলা শুরু। একে একে ইনানী পার্লস বিচ পেরিয়ে সোনারপাড়া তে চা, খেয়ে সোজা রাস্তা ধরে পথচলা শুরু। সামনেই বিশাল ‘রিজুখাল’, যা পায়ে হেটে পেরোনো যাবে না। তাই অগত্যা সৈকত ছেড়ে শুরু পিচ রাস্তা দিয়ে শুরু হলো পথ চলা। সৈকতে চলার পর পিচ রাস্তা ধরে চলা খুব কঠিন। একদিকে পায়ের ওপর চাপও পরে অন্যদিকে সামনে দিয়ে বিকট শব্দে গাড়ির চলাচল মানসিক অস্বস্তি তৈরী করছিলো। যাই হোক, ৩-৪ কিলোমিটার হাঁটার পর ‘হিমছড়ি’র একটি বনবিতানে। সেখানেই গাছপালা ঘেরা এলাকায় রাত্রিবাসের ব্যবস্থা করি।

আর মাত্র ২০ কিলোমিটার, লক্ষ্যমাত্রা ‘নাজিরার টেক’ পৌঁছানো। পাশাপাশি বিচহাইকিং বা কোস্টাল ট্রেকের ক্ষেত্রে নতুন একটা মাইলস্টোনও তৈরি হল। প্রথম ভারতীয় বা বিদেশী অভিযাত্রী হিসাবে এই দৃষ্টান্ত তৈরি করতে সক্ষম হলাম আমরা। এই যাত্রায় আমাদের সহযোগিতা করেছে বাংলাদেশের “Beach Hiking” সংগঠন।

সর্বশেষ খবর ওশানটাইমস.কম গুগল নিউজ চ্যানেলে।

Tags: , , , , ,

oceantimesbd.com