নতুন সমুদ্র সৈকত এম আলী লালচরে ভ্রমণপিপাসুদের ভিড়

বেড়ীবাঁধের বাইরে সবুজ কেওড়া বাগান, বনের মধ্য দিয়ে তৈরি করা হয়েছে নতুন সড়ক, সড়কে ১০ মিনিট গেলেই মিলবে বিশাল বিল, বিল পেরিয়ে সামনে গেলে ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত।

দুই বছর আগেও যেটি ছিল জনমানবহীন, তা এখন দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর। প্রতিদিনই ভ্রমনপ্রিপাসুরা ছুটে যাচ্ছেন সেখানে। উপভোগ করছেন সমুদ্রের সৌন্দর্য। স্থানীয়দের কাছে এটি এম আলী লাল চর সমুদ্র সৈকত নামে পরিচিত।

নোয়াখালী হাতিয়ার বুড়িরচর ইউনিয়নের বড়দেইল গ্রামের দক্ষিণ পাশে বেড়ীবাঁধের বাইরে এর অবস্থান। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মোটর সাইকেল ও যাত্রীবাহী জিপ গাড়িতে করে মানুষ আসছেন এখানে।

দুপুরের পর থেকে এই চরের সৈকতে মানুষের উপস্থিতিতে তৈরি হয় বিশাল জনসমুদ্র। এদের মধ্যে কেউ আসেন পরিবার নিয়ে, কেউ প্রতিষ্ঠানের সহপাঠিদের নিয়ে। অনেকে বড় গাড়ি বহর নিয়ে এসে করছেন বনভোজনের আয়োজন।

ঢাকার সাভার থেকে বেড়াতে আসা মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘নতুন এই চরের মানুষের প্রধান আকর্ষণ ১০ কিলোমিটারের বিশাল এই সৈকত। আছে লাল কাঁকড়ার সমারোহ। সৈকতের পাশাপাশি বালুময় বিশাল এলাকা জুড়ে মোটরসাইকেলে চালিয়ে ঘুলে দেখা যায়। কাদামুক্ত সৈকতের পানিতে নেমে গোসল করা যায় নিরাপদে। এখানে শিশুদের বিনোদনের জন্য ঘোড়ার পিঠে ছড়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।’


বুড়িরচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরের কূল ঘেঁষে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হওয়া এই সমুদ্র সৈকতে দর্শনার্থীদের পদাচারণা শুরু হয়েছে ২০২১ সাল থেকে। এরইমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একটি রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। জনবসতি থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দুরে এই সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যবস্থা নিয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ। স্থানীয় কয়েকজন যুবকের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে স্বেচ্ছাসেবক টিম। নদীর তীরে পর্যটকদের বসার জন্য উপরে ছাউনি দিয়ে টেবিল বসানো হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও ভ্রমণপিপাসুদের শতভাগ সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে পারলে পর্যটন সম্ভাবনার এই স্থানটির মাধ্যমে স্থানীয় জন সাধারণের অর্থনৈতিক পরিবর্তন বয়ে আনবে। এজন্য সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউস-এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে।’

হাতিয়াতে যে কয়েকটি দর্শনীয় স্থান রয়েছে তার মধ্যে এম আলী লাল চর অন্যতম। এরইমধ্যে নিরপদে এই চরে পৌঁছানোর জন্য নতুন সড়ক তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি পর্যটকদের নিরাপত্তায় কাজ করছে ইউনিয়ন পরিষদসহ স্থানীয় প্রশাসন। এটি একটি পর্যটন সম্ভানাময়ী এলাকা। প্রাকৃতির দারুণ মেলবন্ধন রয়েছে এখানে। এই চরকে কাজে লাগাতে পারলে পর্যটনের যেমন নতুন একটি দ্বার উন্মোচিত হবে, তেমনি স্থানীয়দের উন্নয়নেও রাখবে অনেক বড় ভূমিকা।

সর্বশেষ খবর ওশানটাইমস.কম গুগল নিউজ চ্যানেলে।

Tags: , , , ,

oceantimesbd.com