জমকালো সব আয়োজন নিয়ে ১৬ই ডিসেম্বর হবে ৪র্থ নদী পর্যটন উৎসব

একটা দিন পুরোটাই কাটবে প্রকৃতির সাথে। পরিবার বা প্রিয়জনকে নিয়ে ঘুরবেন নদীতে। ঘুরতে ফিরতে দেখা যাবে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পুতুল নাচ, বাউল গানসহ গ্রামিন নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। গ্রাম বাংলার বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী শিল্পের প্রদর্শনী দেখবেন, কিনবেন কারকাজে ভরা বিভিন্ন আসবাব। আপনার শিশুও ঘুরে ঘুরে দেখবে প্রকৃতি, নিজের মানের পাশাপাশি তুলির আঁচড়ে আঁকবে প্রকৃতির চিত্র। এমন একটি উৎসব নগর সভ্যতায় বসবাসকারী অনেকেই খুঁজেন। কিন্তু স্বাধ আর স্বাধ্যের মিশেলে হয়ে উঠে না।

যারা এমন উৎসবকে অনুভব করেন তাদের জন্য এই সবকিছুকে একত্রিত করে নদীতেই হতে যাচ্ছে নদী পর্যটন উৎসব। দেশে চতুর্থ বারের মত এই আয়োজন হবে আগামী ১৬ ডিসেম্বর। ঢাকা থেকে চাঁদপুর রুটে রিভার ক্রুজে জমকালো আয়োজনে অনুষ্ঠিত হবে এই উৎসব। যৌথভাবে এই নদী উৎসবের আয়োজন করছে বাংলাদেশ ট্যুরিজম এক্সপ্লোরারর্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিইএ) ও ফেসটিভ্যাল অ্যান্ড কালচারাল ট্যুরিজম কনসোর্টিয়াম (এফসিটিসি)।

আয়োজকরা জানিয়েছেন, ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে এই উৎসবের রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম। যা চলবে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। বর্ণিল এই উৎসবের সহ আয়োজক হিসেবে থাকছে বগুড়া ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস চক্কর ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস, ট্রাভেলারস হাব, হ্যামক ট্যুরিজম বিডি, প্যারেন্টস এভিয়েশন, মায়াবি ট্যুরস।

আয়োজক কমিটি জানিয়েছে, পরিবার পরিজন বা বন্ধুবান্ধব-প্রিয়জনকে নিয়ে নদীতে কাটানো মতো একটি দিন উপহার দিতে এই উৎসবের আয়োজন করেছেন তারা। অনুষ্ঠানগুলো সাজানো হয়েছে পরিবারবান্ধব করে। যেখানে শিশুদের জন্য থাকবে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, নানা ধরণের শিশুতোষ খেলার আয়োজন। থাকবে পরিবারভিত্তিক খেলা, পাপেট শো, দেশীয় খাবার ও পণ্যের ছোট মেলা, বাউল গান, পুতুল নাচ ও ব্যান্ড সঙ্গীতের আয়োজন। যেহেতু সারাদিন লঞ্চে কাটবে তাই থাকবে বাহারী খাওয়া-দাওয়ার আয়োজনও।

১৬ই ডিসেম্বর সকাল রিভার ক্রুজে ৭টায় ঢাকার সদরঘাট থেকে রওনা হয়ে নদীপথে চাঁদপুর যাবে। দিনভর নানান উৎসব-আয়োজন শেষে ঢাকায় ফিরবে রাত ৮টায়। উৎসবে থাকবে সকালের নাস্তা, দুপুরে লাঞ্চ, বিকালের নাস্তা, সেমিনার এবং প্যানেল আলোচনা, হস্তশিল্পের প্রদর্শনী, ঐতিহ্যবাহী পুতুল নাচ, বাউল গান, ডি.জে পার্টি,নাচ গান, ব্যান্ড শো, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাচ্চাদের ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা। র‍্যাফেল ড্র এর বিজয়ীদের জন্য ঢাকা-থাইল্যান্ড-ঢাকা ফ্রী এয়ার টিকিটসহ থাকবে অসংখ্য উপহার।

রেজিস্ট্রেশনের বিষয়ে আয়োজকরা জানান, উৎসবে অংশ নিতে আগামী ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। জনপ্রতি রেজিষ্ট্রেশন ফি ১ হাজার ৮৫০ টাকা। একা বা পরিবার নিয়ে লঞ্চের কেবিনে থাকতে আগ্রহীদের বাড়তি গুনতে হবে ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া ভিআইপিদের জন্য থাকবে ৭ হাজার টাকায় ভিআইপি কেবিন।

ফেসবুকে https://fb.me/e/1XW8FUjrR ভিজিট করে বা মোবাইল ফোনে 01796807049 নম্বরে যোগাযোগ করে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে বলেও জানান তারা।

আয়োজনের বিষয়ে বিটিইএ’র প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম সাগর ওশানটাইমসকে বলেন, বাংলাদেশ নদী মাতৃক দেশ। নদীকে ঘিরেই আমাদের সমাজ ও সভ্যতার গোড়াপত্তন। এ নদীকে ঘিরেই তৈরী হয়ে শহর, নগর ও শিল্পায়ন। ক্রমাগত দখল ও দূষণে আমাদের নদীগুলো হারাতে বসেছে চিরচেনা ঐতিহ্য। সময় এসেছে নদীর প্রতি যত্ন নেয়ার। এ বিষয়টি মাথায় রেখে প্রতিবছর আমরা এ উৎসবটি আয়োজন করার পলিকল্পনা গ্রহণ করেছি। এ নিয়ে চতুর্থ বারের মত আয়োজন হচ্ছে উৎসবটি।

শহীদুল ইসলাম সাগর আরও বলেন, প্রতিবছর নৌ-ভ্রমণ এর মাধ্যমে আমারা আয়োজন করি নদীর সাথে সারাদিন সখ্যতা ও ভাব-বিনিময়ের। সেই ছোটবেলা থেকে পড়ে আসছি, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। শাখা-প্রশাখাসহ প্রায় ৩১০ টি নদ-নদী বিপুল জলরাশি নিয়ে ২৪,১৪০ কিলোমিটার জায়গাজুড়ে দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

সর্বশেষ খবর ওশানটাইমস.কম গুগল নিউজ চ্যানেলে।

Tags: , ,

oceantimesbd.com