গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত সাজাতে চায় জেলা প্রশাসন

নতুনভাবে পর্যটকদের জন্য সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত সাজিয়ে তুলতে নানান উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। এ সৈকতে রিসোর্ট, ওয়াকওয়েসহ সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হচ্ছে।

সেতু ও রিসোর্ট নির্মাণকাজের জন্য উপজেলা প্রশাসনের তৈরি নকশা অনুমোদিত হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মো. ফখরুজ্জামান।

সম্প্রতি গুলিয়াখালী সৈকত পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক সৈকতের উন্নয়নের জন্য উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন।

তিনি বলেন, সৈকতের নিরাপত্তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশের ইউনিট চালুর কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে- সৈকতের আবর্জনা পরিষ্কার করা, অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা দোকানপাট নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে আনা, পর্যাপ্ত টয়লেট স্থাপন করা ইত্যাদি।

নকশা অনুযায়ী, বেড়িবাঁধ থেকে ইংরেজি ওয়াই আকৃতির ১০ ফুট ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে। এর দুই দিকে হবে রেস্তোরাঁ ও রিসোর্ট।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বলেন, সব ঋতুতে পর্যটকেরা যেন সৈকতের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন সেজন্য একটি নকশা করা হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে এর নির্মাণকাজ শুরু হবে। ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক পরিদর্শন করে গেছেন।

তিনি আরও বলেন, বর্ষাকালে জোয়ারের সময় সৈকত ডুবে যায়। তখন পর্যটকদের বেড়িবাঁধে অপেক্ষা করতে হয়। ওয়াকওয়েসহ সেতু নির্মাণ হলে পর্যটকরা সারাবছর গুলিয়াখালী সৈকতের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।

সীতাকুণ্ড উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের গুলিয়াখালি সমুদ্র সৈকতকে ‘পর্যটন শিল্প’ ঘোষণা করে পর্যটন মন্ত্রণালয়। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকদের চাপ কমাতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এখানে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পৌর সদর বাজার থেকে সৈকতটির দূরত্ব পাঁচ কিলোমিটার।

একদিকে দিগন্ত জোড়া জলরাশি আর অন্যদিকে কেওড়া বন। আছে সবুজ গালিচার ঘাস। তার মাঝে আঁকাবাঁকা পথে বয়ে গেছে ছোট ছোট নালা। জোয়ারের পানিতে সবুজ ঘাসের ফাঁকে নালাগুলো কানায় কানায় ভরে ওঠে।

সর্বশেষ খবর ওশানটাইমস.কম গুগল নিউজ চ্যানেলে।

Tags: , ,

oceantimesbd.com