বঙ্গোপসাগরে ৫ ঘণ্টায় ৪ বার ভূকম্পন, উপকূলজুড়ে সুনামি আতঙ্ক

ছবি: ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজিরবিবার দুপুর থেকে ৫ ঘণ্টার ৪ বার কেঁপে উঠেছে বঙ্গোপসাগরের নিকোবর দ্বীপ এলাকা। এ নিয়ে গত দুই দিনে বঙ্গোপসাগরের এই অংশে ৬টি ভূকম্পন অনুভূত হলো। যার মধ্যে দুটি ছিল ৫ মাত্রার উপরে। এর আগে গত মাসেও এই এলাকায় ৫ মাত্রার আরও একটি ভূকম্পন সংঘটিত হয়েছিল।

আজ রোববার (৯ এপ্রিল) দুপুর ১টা ১৬ মিনিটে প্রথমে রিখটার স্কেলে ৪.৯ মাত্রার একটি ভূকম্পন অনুভূত হয়। এরপর বিকেল ৫টা ৪৭ মিনিট পর্যন্ত থেমে থেমে ৪টি ভূমিকম্প হয়েছে। তবে এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। যদিও এ নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বঙ্গোপসাগর উপকূলে।

ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, দুপুর ১টা ১৬ মিনিটে ৪.৯ মাত্রার ভূকম্পনটি নিকোবর দ্বীপ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে সংঘটিত হয়। এরপর দ্বিতীয় ভূকম্পন হয় বেলা ২টা ৫৯ মিনিটে। এটির তীব্রতা ছিল রিখটার স্কেলে ৪.১। তারপর বিকেল ৪টা ১ মিনিটে তৃতীয় ভূকম্পনটি হয়। যার তীব্রতা ছিল রিখটার স্কেলে ৫.৩ ম্যাগনিচিউড। সবশেষ বিকেল ৫টা ৪৭ মিনিটে ৫.৫ মাত্রার আরও একটি ভূকম্পন অনুভূত হয়। এটি দ্বীপের ৩৭ কিলোমিটার গভীরে সংঘটিত হয়েছে বলেও জানায় সংস্থাটি।

ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাটি আরও জানায়, চলতি সপ্তাহে একই এলাকায় আরও দুটি ভূকম্পন রেকর্ড হয়েছে। এর মধ্যে শনিবার বিকেল ৪টা ৩৬ মিনিটে নিকোবরের ৭০ কিলোমিটার গভীরে ৪.৩ মাত্রায় একটি ভূমিকম্প হয়েছে। অপরটি হয়েছে গত মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) রাত ১০টা ৪৭ মিনিটে। রিখটার স্কেলে এটি ৪.৬ মাত্রা ও গভীরতা ৬০ কিলোমিটার রেকর্ড হয়েছে।

সাধারণত সমুদ্রতল বা তীরবর্তী মাটির গভীরে ভূমিকম্প অথবা টেকটনিক প্লেটের আকস্মিক উত্থানপতনের ফলে সমুদ্রের পানিতে কম্পনের তৈরি হয়, এতে সেখানে বিশাল আকারে ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়। সেই ঢেউয়ের কারণে পানি আরও ফুলে উঠে প্রবল ঢেউয়ের সৃষ্টি করলে সুনামির সৃষ্টি হয়।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে ভারত মহাসাগরে সংঘটিত ৯.১ মাত্রার একটি ভূমিকম্প পরবর্তী সুনামি কেড়ে নেয় এই সাগর উপকূলের ১৪টি দেশের ২ লাখ ৮০ হাজার মানুষের প্রাণ। এই ভূমিকম্পের সময় উপকূলগুলোতে ১০০ ফুট পর্যন্ত উচ্চতার ঢেউ আঘাত করে। যা বিশ্বের প্রাণঘাতি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ইতিহাসে অন্যতম একটি।

সর্বশেষ খবর ওশানটাইমস.কম গুগল নিউজ চ্যানেলে।

Tags: , ,

oceantimesbd.com