১০ দিনের আবহাওয়া পূর্বাভাস, কোথায় কি হতে পারে

বেশ কিছুদিন ধরে চলমান খরা ও তাপ প্রবাহের কারণে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। সবাই অপেক্ষা করছেন একটি আশার বাণীর জন্য। কবে বৃষ্টির সম্ভাবনা? কবে বিদায় নেবে এই খরা ও তাপ প্রবাহ?

মূলত আগামী ২০ তারিখের পর দেশের পূর্বাঞ্চলে ও উত্তর পূর্বাঞ্চলে যেমন সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের অল্প কিছু এলাকায় বিচ্ছিন্ন বা বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। এবং এতে বরিশাল বিভাগের দুই এক জায়গায়ও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত থাকতে পারে ঈদের পরবর্তী সময়ে।

২৪ ও ২৫ তারিখের পর সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক এলাকায় সেই সাথে ময়মনসিংহ বিভাগের বেশ কিছু এলাকায় ঝড় বৃষ্টি শুরু হতে পারে, যাতে থাকতে পারে তীব্র বজ্রপাত ও শিলা বৃষ্টি। ২৪ ও ২৫ থেকে ২৭ তারিখের মধ্যে উল্লেখিত অঞ্চল সমূহে ঝড় বৃষ্টি সহ দেশের অন্যত্র দু‌‘এক জায়গায় কিছুটা ঝড় বৃষ্টি হতে পারে তবে তা তাপ প্রবাহ কমানোর জন্য যথেষ্ট নয়।

এরপর ২৭ এপ্রিল থেকে ২মে নাগাদ একটি বৃষ্টি বলয় সক্রিয় হয়ে দেশের অন্যত্রও কিছু ঝড় বৃষ্টি ঘটাতে পারে। এ সময় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত থাকতে পারে দেশে পূর্ব ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে, বিশেষ করে সিলেট বিভাগে। এর পাশাপাশি ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু এলাকায় ঝড় বৃষ্টি হতে পারে, তীব্র বজ্রপাত ও শিলা বৃষ্টিসহ। তবে এ সময়ে রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে ঝড় বৃষ্টির পরিমাণ অনেক কম থাকতে পারে।

ঝড় বৃষ্টির পিরিয়ডে কালবৈশাখীর শক্তি মাত্রা বেশ তীব্র হতে পারে। এতে হরহামেশাই ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকবে বজ্রবৃষ্টির এলাকায়।

তবে দেশের অন্যত্র তাপ প্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এবং দেশের পশ্চিমাঞ্চলের বৃষ্টিপাত চলমান খরা প্রবাহের তুলনায় যথেষ্ট হতে পারবে না।

দীর্ঘদিন খরা এবং তাপপ্রবাহ চলার পর ঝড় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় অপেক্ষাকৃত বড় মাপের শিলা বৃষ্টি এবং শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় এপ্রিলের শেষ সপ্তাহের আশঙ্কা। এবং পশ্চিমাঞ্চলের পানি সংকটের বিপরীতে কোন সুখবর আপাতত নাই। এসকল তথ্য বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (BWOT) জানিয়েছে।

সর্বশেষ খবর ওশানটাইমস.কম গুগল নিউজ চ্যানেলে।

Tags: , ,

oceantimesbd.com